কলকাতা: মৃত্যুর পরেও হয়রানি কম চলছে না। করোনা পরিস্থিতিতে মৃত মানুষের পরিবারের মধ্যে চলে অদ্ভুত টানাপোড়েন। মৃত্যু শোক ছাপিয়ে যায় সৎকারের চিন্তায়। এমনই এক কাণ্ড ঘটল উত্তর কলকাতার এক পরিবারের সঙ্গে। মৃত্যুর পরে মৃতদেহ নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। করোনা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি ডেথ সার্টিফিকেট। করা যায়নি দাহ। তাই মৃতদেহ রাখার জন্য পরিবারকে কিনতে হল আইসক্রিম ফ্রিজ। তবে সেই খবর পৌরসভার অন্দরে পৌঁছানো মাত্রই তৎপর হয়ে উঠল প্রশাসন। পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে নেওয়া হল উপযুক্ত ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন- চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধকরণে তৃণমূল-সিপিএমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রবি শঙ্কর প্রসাদ
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে। প্রসঙ্গত, জ্বর ও কাশি নিয়ে এই এলাকার এক ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধের মৃত্যু হয় সোমবার। কিন্তু চিকিৎসক পরিবারের হাতে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে রাজি হয়নি। দেওয়া হয় করোনা পরীক্ষা করতে। মঙ্গলবার রাতের দিকে পরিবারের হাতে এসে পৌঁছায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট। তাতেই আশঙ্কা তৈরি হয় পরিবারের মধ্যে।
সেই মৃতদেহ রাখতে অনেক মর্গ অস্বীকার করায় পরিবারের তরফেই কিনে আনা হয় একটি আইসক্রিম ফ্রিজ। দুদিন সেখানেই শায়িত ছিল মৃতদেহ। অবশেষে ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে বুধবার সকালেই ওই আমহার্স্ট স্ট্রিটের ওই বাড়িতে পৌঁছে যায় স্বাস্থ্য কর্মীরা। শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে আসে মৃতদেহ।
পরিবারের এই হয়রানি হওয়ায় দুঃখিত ফিরহাদ। সঠিক সময়ে খবর না পৌঁছানোই এই বিলম্বের কারণ। তবে খবর আসা মাত্রই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। শুধু মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে না যাওয়া, পাশাপাশি এলাকায় যাতে করোনা ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে সদা সচেষ্ট পুরসভা।
দ্রুত ওই বাড়ি সহ এলাকাতে স্যানিটাইজ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় ওই কর্মকাণ্ড। পাশাপাশি আর কারোর মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য এলাকায় পৌঁছে যায় স্বাস্থ্য কর্মীরা। নমুনা সংগ্ৰহ করা হয় সবার। দ্রুত ফল জানা যাবে এই সংক্রমণের। ততদিন এলাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।