সুমন বটব্যাল, কলকাতা: ফের শিথিল লকডাউন৷ বিয়ে বাড়ি, মেলা, বিউটি পার্লারের পাশাপাশি আজ থেকে ছাড় জিম এবং যাত্রাপালাতেও৷ সোমবার সন্ধ্যেতেই রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে সেকথা৷ এরপরই জনমানসে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে সেই লাখ টাকার প্রশ্নটা, তাহলে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হল কার স্বার্থে?
আমজনতার মতে, ৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে নতুন করে করে আংশিক লক ডাউনের বিধি নিষেধ জারি হলেও ধীরে ধীরে সেই নিয়মে শিথিল করা হচ্ছে৷ যা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে৷ স্বাভাবিকভাবেই জনতা জনার্দনের অন্দর থেকে ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে উঠে আসছে হাজারও প্রশ্ন৷
প্রসঙ্গত, বিধাননগর, শিলিগুড়ি সহ রাজ্যের চার পুর নিগমে পুরভোট হওয়ার কথা ছিল ২২ জানুয়ারি৷ সংক্রমণের কারণ দেখিয়ে সেই ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ভোট হবে ১২ ফেব্রুয়ারি৷ এরপরই জনতার অন্দর থেকে উঠে আসছে নানা প্রশ্ন৷ কেউ বলছেন, ‘‘ভোট নিয়ে একটা ছেলে খেলা হচ্ছে। তাড়াতাড়ি ভোট টা হয়ে যেত, সেখানে ৯ তারিখ পর্যন্ত প্রচার চলবে। এতে তো সংক্রমণ আরও বাড়বে৷’’
কারও মতে, ‘‘বিধিনিষেধ শিথিল করার অর্থ থেকেই স্পষ্ট যে সরকার অফিসিয়ালি জানাচ্ছে, সংক্রমণ কমছে৷ অথচ সেই সংক্রমণ দেখিয়েই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটল৷ তাহলে কি বিষয়টা পরস্পর বিরোধী হয়ে যাচ্ছে না?’’
কারও মতে, ‘‘আমরা জনগণের কথা ভাবি, এটা বোঝাতে পাবলিক সেন্টিমেন্টের কথা মাথায় রেখেই এই কৌশল৷’’ কারও মতে, ‘‘আদতে ভোট পিছিয়ে ভোট প্রচারের সময়টা বাড়িয়ে নেওয়া হল৷ তাতে সংক্রমণ বাড়লেও শাসক-বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নিজেদের প্রচারে বাড়তি সময় পেয়ে গেলেন৷ তাই তো সব পক্ষ চুপ!’’
আরও পড়ুন: স্বাদ ফিরছে Indian Railway, রাজধানী-শতাব্দীতে মিলবে রান্না করা খাবার