কলকাতা: নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে(Principal of R.G Kar) ঘিরে এবার চিকিৎসক পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আরজিকর হাসপাতালে। নিরাপত্তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, এ নিয়েই এবার তাঁদের দাবি। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, এই দাবি তুলেই অধ্যক্ষকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ। কর্তব্যরত পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই মর্মে অধ্যক্ষের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চিকিৎসক ছাত্ররা।
এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, “ম্যাসাকার হয়েছে। সিপি যখন এসেছে, তখন সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তিনি বলে গেলেন মিডিয়া প্রচার চালাচ্ছে। মিডিয়া তো আর প্রোটেকশন দেবে না, পুলিশ তো দাঁড়িয়ে দেখল! আমরা কী করতে পারি? পালিয়ে শেল্টার নিলাম। কে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে?”
উল্লেখ্য, গতকাল, বুধবার দুষ্কৃতিরা আরজিকরে ঢুকে তছনছ করে দেয় গোটা এমার্জেন্সি বিভাগ। মারধর করা হয় নার্সদের। বাদ যায়নি চিকিৎসক থেকে পুলিশকর্মীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, ওই দুষ্কৃতীরা বলে গিয়েছে, রাতের দখল নিতে দেবে না মহিলাদের। গতকাল দেখে গিয়েছে। আজ ফের হামলা করবে তারা। নার্সিং সুপার পরিষ্কার জানিয়েছেন, “এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। রাতের দখল নিতে দেবে না সেটাই জানিয়ে গেল।”
অন্যদিকে গতকাল মধ্যরাতের ঘটনার পরে তৎপর হয়েছে পুলিশ। পুলিশের তরফে লেখা হয়, “গত রাতে আরজি কর হাসপাতালে হানা দিয়ে আন্দোলনরত ডাক্তার ও ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালায় পাঁচ থেকে সাত হাজার জনের একটি বাহিনী। হাসপাতালের একাংশে ভাঙচুর করে তারা। আমরা গর্বিত ডিসি (নর্থ) সহ ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত আমাদের সহকর্মীদের জন্য, যাঁরা সংখ্যায় তুলনামূলক ভাবে কম থাকা সত্ত্বেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সীমিত ক্ষমতায় হামলাকারীদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করে যান। যতক্ষণ না অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আহত হয়েছেন আমাদের বহু সহকর্মী, এঁদের মধ্যে কারোও কারোও আঘাত গুরুতর।”