নয়াদিল্লি: ভারত যখন ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে সেই সময়ে নোবেল কমিটি সেই ব্যক্তিকে স্মরণ করেছে যিনি দেশের জাতীয় সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। হ্যাঁ কথা হচ্ছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (Rabindranath Tagore) নিয়ে। X-এর একটি পোস্টে, নোবেল পুরস্কারের সেই পাতাটি শেয়ার করেছে যেখানে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জন গণ মন’-এর ইংরেজি অনুবাদ।
নোবেল পুরস্কারের এক্স অ্যাকাউন্ট ঠাকুরের লেখা অনুবাদের একটি ছবি শেয়ার করার সময় লিখেছে, “‘জন গণ মন’ হল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, যা মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলায় রচিত , যিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।” মূলত ১৯১১ সালের ডিসেম্বরে বাংলা ভাষায় ‘ভারত ভাগ্য বিধাতা’ হিসাবে রচিত, গানটির প্রথম স্তবকটি ভারতীয় সংবিধান দ্বারা ১৯৫০ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। ‘ভারত ভাগ্য বিধাতা’-এর ইংরেজি নাম ছিল ‘দ্য মর্নিং সং অফ ইন্ডিয়া’ যেমনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে লেখা মূল অনুবাদে দেখা যায়। ইতিমধ্যে ‘জন গণ মন’ অনুবাদ করা হয়েছে, তা হল ‘তুমি সকল মানুষের মনের অধিপতি’।
“Jana Gana Mana” is the national anthem of India, originally composed in Bengali by poet Rabindranath Tagore, who was awarded the Nobel Prize in Literature in 1913.
Pictured: An English translation of Jana Gana Mana by Tagore pic.twitter.com/8p1AzBNQoQ
— The Nobel Prize (@NobelPrize) August 15, 2024
সকাল ১১.৪২ এ নোবেল পুরস্কার X-এ পোস্ট করার পর থেকে, টুইটটি প্রায়১০০,০০০ বার দেখা হয়েছে৷ প্রতিবেদনটি লেখার সময় এটি ৮৮৩ বার রিটুইট করা হয়েছে এবং প্রায় ৩,৫০০ জন ব্যবহারকারী লাইক করেছেন। ১৯৪৭ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে “জন গণ মন” এর একটি রেকর্ডিং জমা দেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন কবি, গীতিকার, লেখক, চিত্রকর, নাট্যকার, সুরকার, দার্শনিক এবং সমাজ সংস্কারক যিনি বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতকে নতুন আকার দিয়েছেন। তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া।