
অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: সোমবার বিকেলে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ। রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতির প্রতিবাদে চেতলায় আগুন জ্বালিয়ে চলে তুমুল বিক্ষোভ, নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হতেই লাইম লাইট চেতলা থেকে সরে চলে গেল হাজরা মোড়ে। সেখানেই হল সিপিআইএম কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে সমাবেশ।
“না চোর! না দাঙ্গাবাজ! বিকল্পের লড়াই, বিকল্প বামপন্থাই।” সমাবেশে বক্তব্য রাখলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ এবং সভাপতি কল্লোল মজুমদার। সমাবেশের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন সেলিম ও বিকাশরঞ্জন। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্যে ফের উঠে এল তৃণমূল-বিজেপি সেটিংয়ের কথা।
পাশাপাশি এদিন সেলিম অখিল গিরি নিয়েও মন্তব্য করলেন। দেশের রাষ্ট্রপতি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় জোর বিতর্ক চলছে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে নিয়ে। অমিত শাহের সিএএ এনআরসি নিয়েও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন সেলিম। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিএএ এনআরসি নিয়ে সেলিম বলেন, “যখনই ভোট আসে তখনই মনে পড়ে সিএএ-এনআরসি -র কথা। আমরা এখানে কে পূব থেকে এসছে, পশ্চিম থেকে এসছে সেই সন ভাগ করিনা। দেশভাগের সময় যেমন ইংরেজরা পাঞ্জাবি এবং বাঙালিদের সহ্য করতে পারেনি, তেমনই আজকের দিনে অমিত শাহ যুদ্ধ ঘোষণা করছেন যাতে বাংলার মানুষের ঐক্য, সংস্কৃতি নষ্ট হয়।” রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে সেলিম বলেন, “আমাদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী যাদের শিক্ষক করেছেন তাদের ছাত্ররা প্রশ্ন করে স্যার আপনার ডিগ্রি আসল না নকল৷ টাকা নিয়ে নম্বর বাড়ানো হচ্ছে।
অমিত শাহকে আক্রমণ করে তিনি আরও যোগ করেছেন, “সেই জন্য বাংলা ভাগ করতে চাইছেন। কারোর হিম্মত হবে সিএএ-এনআরসি লাগু করার, যে যাই বলুক। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সেলিম বলেন, “মূল্যবৃদ্ধির অর্ধেক ভাগ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের, ৫০-৫০। নবান্নে বৈঠক করে মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা মিটবে না, রাস্তায় নামতে হবে। উনি নামবেন?” অখিল গিরি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া নিয়ে সেলিম বলেন, “কেন উনি ক্ষমা চাইবেন? শাস্তি দিতে পারেন না? ওই লোকটাকে (অখিল গিরি) কান ধরে দল থেকে বিধানসভা, মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দিয়ে দিতে পারলেন না? এগুলো বর্ণবৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা, আমরা তার বিরুদ্ধে।”