
কলকাতা: অবশেষে মুখ খুললেন তৃণমূলের হুগলির যুব নেতা কুন্তল ঘোষ৷ টানা ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে ইডির হাতে গ্রেফতারের পর পরিস্থিতির জন্য প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে দায়ী করেছেন কুন্তল৷ আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে কুন্তলের দাবি, ‘‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি৷ ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিল তাপস মণ্ডল৷ সেটা দিইনি বলে আমাকে ফাঁসিয়ে দিল৷’’
তাপস মণ্ডলের পাশাপাশি গোপাল দলপতি বলেও আরও একজনের নামোল্লেখ করেছেন কুন্তল৷ তাঁর দাবি এই দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত ওই গোপালও৷ তাপসের মাধ্যমেই তার সঙ্গে পরিচয় ঘটেও বলে দাবি করেছেন কুন্তল৷ বস্তুত, টানা ২৪ ঘণ্টা যুব নেতার দুটি ফ্ল্যাটে ম্যারাথন তল্লাশির শেষে এদিন সকালে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি৷
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আপাতত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে৷ আজ ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি৷ তদন্তকারীরা মনে করছেন, যদি এই কর্মকাণ্ডে তাপস মণ্ডল জড়িত থাকেন তাহলে কুন্তল আগে এগিয়ে এসে সেকথা কেন বললেন না? গ্রেফতারের পর কেন তিনি ষড়যন্ত্রের নালিশ করছেন? স্বভাবতই, কুন্তলের প্রতিক্রিয়াকে ‘পিঠ বাঁচানো’র মরিয়া চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ধৃতকে জেরা করে এই চক্রের আরও অনেক অজানা তথ্য সামনে আসবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা৷ সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে অনেক ফর্ম ও এডমিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে৷
বস্তুত, হুগলির একটি কলেজের অন্যতম কর্ণধার, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলছিলেন তাপস মণ্ডল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও সেই কথা জানিয়েছিলেন তাপস। তারই জেরে ইডির নজরে আসে কুন্তল৷ দলের অন্দরে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ছিলেন কুন্তল৷ যদিও নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে দল সরাসরি যুক্ত কি না, এদিন সেই প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও জবাব দেননি কুন্তল৷ শুধুমাত্র তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে এনেছেন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ৷
আরও পড়ুন: বিতর্ক এড়াতে টেন্ডার ডেকে সরস্বতী পুজোর আয়োজন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে