কলকাতা: ভাগাড়কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর গোটা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল৷ তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে কড়কনাথ মুরগি পালন৷ সেই মতো ইতিমধ্যেই কড়কনাথ অর্থাৎ কালো মুরগির চাষ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এই মুরগি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অর্থাৎ ক্যানসার প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন৷
এই কড়কনাথের মুরগির মাংস ও ডিম উভয়ই পোল্ট্রি মুরগির থেকে অনেকটাই বেশি৷ পুরুষ মুরগির ক্ষেত্রে ওজন হয় দুই থেকে আড়াই কেজি এবং স্ত্রীদের ক্ষেত্রে দেড় কেজি থেকে পৌনে দু’কেজি পর্যন্ত হতে পারে। ডিমের রং বাদামি। একটি ডিমের ওজন প্রায় ৪০-৪৫ গ্রাম৷ এই মুরগির মাংসে নানা ধরণের ভিটামিন থাকে। সেই সঙ্গে রক্তকণিকার পরিমাণ এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই মুরগির মৃত্যুর হারও কম। মাত্র ১০-১২ বারো শতাংশ বলা যায়।
রাজ্যের যেখানে যেখানে মুরগি পালন করা হয় সেখানে এই মুরগির ছানা প্রদান করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে৷ পশ্চিম বর্ধমানে প্রায় সাত হাজার মুরগি ছানা বিতরণ করা হয়েছে৷ ৬০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যে এই মাংস বিক্রি হয়৷
চিকেন এমন একটা খাবার যা ছোটো থেকে বড় সকলেই খুব পছন্দ করে৷ শিশুদের তো চিকেন কথা শুনলেই খিদে পেয়ে যায়৷ কিন্তু চিকেন প্রেমীদের জন্য দুঃখের খবর৷ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার পোল্ট্রি মুরগির উপর নিষধাজ্ঞা জারি করল৷ শুধু সরকার না একই কথা বলেছেন চিকিৎসকরাও৷
চিকিৎসকদের মতে, করোনা ভাইরাসে শুধু যে মানুষ তা নয় আক্রান্ত হচ্ছে বহু গৃহপালিত পশুও৷ পাশাপাশি ভিভিএনডি নামে আরও একটি ক্ষতিকারক ভাইরাস দেখা দিয়েছে৷ আর এই ভাইরাসের কারণে কয়েক হাজার হাজার পোল্ট্রি মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে৷ সেই সব আগে থেকে মেরে রাখা মুরগি গুলো খুব কম দামে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে৷
সম্প্রতি করোনার মতো একাধিক ভাইরাস ছড়াচ্ছে৷ চিনে তো করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে৷ তাই সাধারণ মানুষ খাবার নিয়ে সচেতন হয়েছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষ কম দামে মরা মুরগি গুলো নিয়ে বাড়িতে সাশ্রয় করে রাখছে৷