কলকাতা: আরজিকরে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রায় এক মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এখনও জট কিছুতেই কাতছে না। অন্যদিকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়(Sanjay Rai) একাই নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে আরও কোনো নাম! তা নিয়ে চলছে তদন্ত। তবে এখনও এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে অক্ষম CBI, প্রেসিডেন্সি জেলের ভিতর মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের পরেও সিবিআই বহু প্রশ্নের উত্তর পায়নি। এদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতে ফের রিপোর্ট দাখিল করতে হবে CBIকে। এবার সে কারণেই সঞ্জয় রায়ের নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষা করতে চায় সিবিআই। এর মধ্যেই সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ এএসআই অনুপ দত্তর বিরুদ্ধে তদন্তের খবর সামনে আসছে।
একদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি একের পর এক তথ্য সামনে আনছে কিন্তু জট কিছুতেই কাটছে না। অন্যদিকে সিবিআই দফতরে সংবাদমাধ্যমকে দেখে ছুটে পালানো সেই ভাইরাল এএসআই অনুপ দত্ত এবার লালবাজারের নজরে। অনুপ দত্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারের জন্য পুলিশের বাইক বরাদ্দ নেই। নিয়ম ভেঙে ওই এএসআই কীভাবে পুলিশের বাইক সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়কে দিলেন? দিনের পর দিন ওই বাইক নিয়ে ঘুরছিল সঞ্জয়। আরজিকর ঘটনার দিনও ওই বাইক সঞ্জয়(Sanjay Rai) ব্যবহার করেছিল। নিয়মবহির্ভূত কাজ করায় অনুপের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এমনকী সল্টলেকে চতুর্থ ব্যাটেলিয়ানের ব্যারাকে সঞ্জয় যে ঘরে থাকত সেটিও অনুপের নামে বরাদ্দ ছিল। ব্যারাকে সঞ্জয়ের বারবাড়ন্তের পিছনেও এই পুলিশকর্মীর প্রশ্রয় ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সব দিক নিয়েই তদন্ত শুরু করল লালবাজার।
প্রসঙ্গত, আরজিকর কাণ্ডে অনুপকে একাধিকবার জেরা করেছিল সিবিআই। প্রথমবার তলব পেয়ে এই অনুপকেই সংবাদমাধ্যম দেখে সিজিও কমপ্লেক্সে দৌড়ে পালাতে দেখা গিয়েছিল। তাঁরও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করে হয়। কলকাতা পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য ছিলেন এই অনুপ। এই ওয়েলফেয়ার কমিটিতে নিযুক্ত ছিল কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ধৃত সঞ্জয়। অনুপের হাত সব সময় সঞ্জয়ের মাথার উপর থাকত, এমনই অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা পুলিশের যে বাইক নিয়ে সঞ্জয় ঘুরত সেটি আসলে অনুপের জন্য বরাদ্দ ছিল। অনুপই তাকে বাইক ব্যবহার করতে দেয়।