কলকাতা: আরজিকর কাণ্ড(R.G Kar Case) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এরপরেই এই ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নিয়ে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। তিলোত্তমার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন আছে, তা আগেই প্রকাশ্যে আসে। এবার প্রকাশ্যে আসছে আরও তথ্য।
সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরে মোট ২৪টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রিপোর্ট বলছে তাঁর গলার হাড় ভাঙা। অর্থাৎ থাইরয়েড কার্টিলেজ, হাইওয়েড বোন ভাঙা ছিল। হাড়েও ছিল রক্তপাতের চিহ্ন। এবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘তরুণীর যৌনাঙ্গে জোর করে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত নথি মিলেছে, যা যৌন নিপীড়নের ইঙ্গিতবাহী।’
ময়নাতদন্তের যা রিপোর্ট তাতে মৃত্যুর আগে অসচেতন অবস্থায় ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলছে। এছাড়া, নির্যাতিতার সারা দেহে একাধিক নখের আঁচড়, যৌন কামড়ের চিহ্নও পাওয়া যায়। রিপোর্টে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে আঘাত করা হয়েছে। শুধু গলা টিপে ধরাই নয়, মুখও চেপে ধরার প্রমাণও মিলেছে পিএম রিপোর্টে
তবে যাঁকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনিই সত্যিকারের অভিযুক্ত কি না, তা জানার জন্য বেশ কিছু ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গোপনাঙ্গে পাওয়া শুক্রাণু, কামড়ের ক্ষত থেকে পাওয়া লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলে অপরাধীকে চিহ্নিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।