কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে হাজির হয়েই বিস্ফোরক মমতা। পূর্বেই কড়া শাস্তির দাবি তুলেছিলেন মমতা। এবার পানিহাটিতে নির্যাতিতার বাড়িতে হাজির হয়ে তিনি বড় ঘোষণা করলেন। সোমবার দুপুর ১টায় পানিহাটিতে নির্যাতিতার বাড়িতে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি জানিয়েছেন, “রবিবারের মধ্যে কিনারা না করতে পারলে CBI-কে দিয়ে দেব।”
মমতা এদিন স্পষ্ট বক্তব্য রেখে জানিয়েছেন, ‘আমি চাই পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করবে। রবিবার পর্যন্ত যদি তাঁরা কুলকিনারা করতে না পারেন তাহলে এই কেসটা আমরা আমদের হাতে রাখব না। আমরা CBI-কে দিয়ে দেব।’ এই প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে মমতার মুখে শোনা যায় আরও একটি বিস্ফোরক কথা, পুলিশ কুলকিনারা যদি করতে না পারে তবে সিবিআইকে মামলা দেওয়া হবে এই কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ ভেতরেও তো অনেকে আছেন’। মমতার এই কথাতেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। পুলিশের অন্দর নিয়েই কি এহেন ইঙ্গিত মমতার! তবে কি পুলিশের ওপরেও ভরসা রাখতে পারছেন না মমতা?
এহেন পরিস্থিতিতে ফের তাপসি মালিক প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, আজ পর্যন্ত তার বিচার হয়নি। সিবিআই-এর সফলতার রেট খুব কম বলেও খোঁচা মমতার। সিঙুরের প্রসঙ্গ টেনে ফের মমতা কেন মন্তব্য করছেন? তা নিয়েও প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। তবে এই সমস্ত মামলার ইতিহাস টেনে CBI-এর সফলতার রেট কম বলে জানান মমতা। কিন্তু তাও মানুষের দাবি মানার জন্য রবিবার পর্যন্ত কলকাতা পুলিশকে আল্টিমেটম দিয়ে CBI-র হাতে এই কেস দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
তিনি এদিন আরও বলেন, “আজ অধ্যক্ষ নিজেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। উনি বলছিলেন যে আমার বাড়িতেও বাচ্চারা আছে। আমায় গালিগালাজ করছে। আমরা ওনাকে বুঝিয়ে বলেছি ঠিক আছে কাজ করতে হবে না।আমরা ওনাকে সরিয়েছি অন্য জায়গায়। আমরা ওইখানে এমএসভিপি-কে সরিয়েছি। হাসপাতালের চেস্ট বিভাগের হেড অব দ্যি ডিপার্টমেন্টকেও সরিয়েছি। পুলিশ পোস্টের যে এসিপি ছিলেন তাঁকে সরিয়ে দিয়েছি। সবাইকে সরানো হয়েছে। ডগস্কোয়্যাড ও ফরেন্সিক সকলকে কাজে লাগানো হচ্ছে। যাতে খুনি গ্রেফতার হয় এবং দোষীরা শাস্তি পায়।”