কলকাতা: আগেই মহিলা চিকিৎসকের বাবা প্রশ্ন তুলেছিলেন, সারা রাত ডিউটিতে না থাকলেও কেন হাসপাতালের কেউ ওই মহিলা চিকিৎসকের(R.G Kar Case) খোঁজ করলেন না! শনিবারও মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর জন্য সরাসরি আরজিকরের চেস্ট মেডিসিন বিভাগকে দায়ী করেছেন নির্যাতিতার বাবা। ওই মহিলা চিকিৎসকের বাবার অভিযোগ, হাসপাতালের যে বিভাগে তাঁর মেয়ে কাজ করতেন, ঘটনার পর থেকে সেখানকার কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি৷ শুধু তাই নয় মৃত্যুর আগেরদিন পর্যন্ত কি বলতেন আরজিকর কাণ্ডের নির্যাতিতা! তা নিয়েও মুখ খুললেন মহিলা চিকিৎসকের মা।
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘ও বলত আরজিকরে যেতে আর ভাল লাগে না৷ এমডি করার জন্য যেটুকু শেখার শেখা হয়ে গিয়েছে৷ এখন শুধু যাই, কাজ করি, চলে আসি’৷ তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন হাসপাতালে পৌঁছে আমরা বার বার বললাম, পায়ে ধরছি, আমার মেয়েটা যে অবস্থায় আছে আমাদের একবার দেখতে দিন৷ তখন আমাদের বলা হয়, ওখানে যাওয়া যাবে না, তদন্ত চলছে৷ আমাদের বাড়িতে অনেক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এসেছেন, প্রত্যেকে বলেছেন এই কাজ কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়৷ আমাদের মেয়েকেও আমরা যে অবস্থায় দেখেছিলাম, তাতে আমাদেরও তাই মনে হয়েছিল৷’
অপরদিকে আরুজিকরে ধর্ষণ-খুনের শিকার মহিলা চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ ওর ডিপার্টেমেন্টের কেউই এর সঙ্গে জড়িত৷ না হলে ঘটনা ঘটার পর থেকে আজ পর্যন্ত ওই বিভাগের একজনও কেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করল না? এর সঙ্গে হাসপাতালের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষও যুক্ত থাকতে পারেন৷ আমার মেয়ে যেদিন মারা যায় সেদিন তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি৷ উল্টে আমাদের বলেন, আমার সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমার ঘরে আসতে হবে৷’