কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডের জেরে বিক্ষোভে সামিল গোটা রাজ্যের মানুষ। এই আবহেই সামনে আসছে একের পর এক যৌন নির্যাতনের ঘটনা। এবার এক হোস্টেলে নাবালিকাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা স্কুল চত্বরে। প্রশ্ন উঠেছে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও। স্থানীয় থানার পুলিশ সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার (Kolkata) হরিদেবপুরের একটি স্কুলের হোস্টেলে। পড়ুয়াদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অগস্ট মাসে কয়েকজন নাবালিকা ছাত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল। হোস্টেল ওয়ার্ডেনের স্বামী, প্রাইভেট ইংরেজি শিক্ষক এবং আরও এক ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে হোস্টেলে যেত। সেখানেই বেশ কিছু নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানিও করেছে বলে অভিযোগ। এমনকি সেই ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দেওয়া হয় ছাত্রীদের। জানা গিয়েছে, হুমকির ভয়েই বিষয়টি কাউকে জানায়নি নির্যাতিতা ছাত্রীরা।
এই ঘটনার পর নাবালিকাদের আচরণে বদল দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ছাত্রীদের অভিভাবকেরা। জিজ্ঞাসাবাদ করে যৌন নির্যাতনের ঘটনা জানতে পারে তাঁরা। এরপরই হোস্টেলের ফাদারকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রীদের অভিভাবকেরা। গত রবিবার হোস্টেলের ফাদার এই ঘটনার বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা ছাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোস্টেল ওয়ার্ডেনের স্বামী সুপ্রিয় সিং, পেশায় প্রাইভেট ইংরেজি শিক্ষক বিশ্বনাথ শীল এবং ওই স্কুলের সঙ্গে যুক্ত শোভন মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে হোস্টেলের মধ্যেই এই রকম এক ঘটনা ঘটায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকেরা।