
কলকাতা: মঙ্গলবারই রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালকে সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন ব্রাত্য(Bratya Basu) । পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। নেতাজি সুভাষ বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়য়, বারাসত স্টেট ইউনিভার্সিটি, সিধু-কানহো বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এদিন হাজির ছিলেন বৈঠকে।
আরও পড়ুন শ্যুটিং করতে গিয়ে গুরুতর জখম Samantha Ruth Prabhu
এদিন ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) জানিয়েছেন, ‘আজ উপাচার্যরা প্রত্যেকে রাজ্যপালের হাতে একটি করে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং রাজ্যপাল তাঁদের তিন মাসের এক্সটেনশন দিয়েছেন। এখন এরা প্রত্যেকেই বৈধ উপাচার্য।’ শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যাতে কোনও সংঘাতের আবহ তৈরি না হয়। রাজ্যপালও এই পন্থাকে সমর্থন করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন ইস্টবেঙ্গল দলে ফিরে আসার আবেদন করলেন এনরিকে এসকুয়েদা
এদিন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, ‘একটা সময় ছিল, যখন শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য বাংলার পরিচয় সর্বত্র ছিল। সেই যুগকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আরও নজর দেব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারতের কথা। সেই আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য পূরণ করতে সবথেকে বড় ভূমিকা হবে শিক্ষার’। এই মর্মে তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জন্য কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। উপাচার্যরা তাই নিজে থেকে এগিয়ে এসে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা সবাই বিজ্ঞ মানুষ। তাই আমি তাঁদের অনুরোধ করেছি, আপাতত তিন মাসের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই সময়ের মধ্যে আইন মেনে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগের কাজ করা হবে।’