
কলকাতা: সল্টলেক গেস্টহাউজ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল মৃত রনি দত্তর প্রেমিকা অনুশীলা চৌধুরীকে। এর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে অরিজিৎ পাত্রকে। শনিবার সকালে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়।
এদিন বিধাননগর দক্ষিণ থানায় দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। রনিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। আজই ধৃত দুজনকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে দেওয়া নোটিশ প্রত্যাহার করল নন্দকুমার থানা, শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে
সল্টলেকের গেস্টহাউজে যুবকের মৃত্যু কাণ্ডের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। গেস্টহাউজের ঘরে যুগলের চিৎকার-চেঁচামেচির অভিযোগ পেয়ে ঘরে ঢুকে প্রেমিকার উপস্থিতিতেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রনির দেহ দেখতে পায় পুলিশ। যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই খবর। তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃতের পরিবারের তরফে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, রনি ছাড়াও কোন্নগরের বাসিন্দা অরিজিৎ পাত্র নামে আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তরুণী।
আরও পড়ুন: Viral Video: ভিড়ের মাঝে জোর করে Ishaan-এর সঙ্গে এই কাজ করলেন মহিলা অনুরাগী
শুক্রবার রাতে অরিজিৎকে ডেকে পাঠিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বয়ানে অসংগতি পাওয়া গেলে রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর শনিবার সকালে তরুণীকে হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে দীর্ঘ জেরার পর তাঁকেও গ্রেফতার করে। জেরায় পুলিশের হাতে তথ্য উঠে আসে যে, রনি ভালোবাসলেও অনুশীলা কেবল তাঁকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করত। বুধবার রাতে নিজের প্রেমিকাকে অরিজিতের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেললে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। এমনকি দুজনেই রনিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। শুরু হয় অশান্তি। অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হন যুবক। এদিকে, জেরায় অরিজিৎ দাবি করেছেন, তিনি এ বিষয় কিছুই জানেন না। পাঁচ-দশ মিনিটের জন্য গিয়েছিলেন। তবে সেখানে যে রনি ছিল তা জানতেন না ধৃত। এখনও তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ। যুবকের রহস্যমৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।