
কলকাতা: সকালের দিকে অনুভূতি হচ্ছে ঠান্ডা (Winter)৷ আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তাপে ভ্যাপসা গরম৷ সূর্য অস্তের সঙ্গে সঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অস্বস্তি গরমটা৷ এই আবহাওয়ায় এখন দেখা যাচ্ছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়৷ কার্যত এই ওয়েদারে বঙ্গবাসী প্রহর গুনছে শীতের৷
এই বিষয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে৷ যার জেরে রাজ্যে ফের নিম্নচাপের সম্ভবনা৷ তাই চলতি সপ্তাহে শেষের দিকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাতের কথা জানা গিয়েছে৷ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে এই ঘূর্ণাবর্তটি৷ যা ১০ নভেম্বরের মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি করবে৷
এই ঘূর্ণাবর্ত পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে আরও শক্তি বাড়াবে৷ তবে স্বস্তির বিষয় এটাই যে এই নিম্নচাপের জেরে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই৷ তবে ১১ ও ১২ নভেম্বর এই নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা প্রবল৷ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেই মূলত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি৷ এই বৃষ্টির পরই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে পড়বে শীত৷
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ১২ নভেম্বরের পর থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা ঠাণ্ডা পড়বে৷ অনুভূতি হবে শীতের৷ কিন্তু তিলোত্তমা সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে জাঁকিয়ে শীত পড়বে ১৫ ডিসেম্বরের পর৷ অতএব এখন প্রায় এক মাসের বেশি সময়৷ অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে ঠাণ্ডা পড়ে গিয়েছে৷ হচ্ছে বৃষ্টি৷ যার দরুন ঠান্ডার প্রভাব বাড়ছে৷
মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ থাকবে ৭৭ শতাংশ। তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বাধিক ছিল ৯৬ শতাংশ৷ রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷