কলকাতা: না! তাঁর আর খেলা হল না৷ বিধানসভা ভোটের নেট প্র্যাকটিসে ‘খেলা হবে’ বলে দাপিয়ে বেরালেও শেষ রক্ষা হল না৷ বাংলার বিধানসভা ভোটেরে খেলায় মমতার টিমে জায়গা হল না তৃণমূলের ‘মুখ’ দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya)৷
দলের হয়ে লাগাতার প্রচার করেন। সোশ্যাল মিডিয়া তো রয়েছেই। দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত নানাবিধ সভা-সমিতিতেও গলা ফাটাতে দেখা যায় তাঁকে। কৃতিত্বকে কুর্ণিশ জানিয়ে তাঁকে দলের মুখপাত্র করে তৃণমূল। তাঁর ‘খেলা হবে’ স্লোগান এখন বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেল না তাঁর নাম।
আলোচিত ব্যক্তি হলেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। হাওড়া জেলার বালির বাসিন্দা এই যুবকের সম্পর্কে নতুন করে কিছুই বলার নেই। লোকসভা ভোটের পড়ে রাজ্য রাজনীতিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। সুচারু বক্তৃতার মাধ্যমে বিরোধী শিবিরকে পরাস্ত করতে তাঁর জুরি মেলা ভার। তৃণমূলের যুব এবং ছাত্র সংগঠনের বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে দেবাংশুর।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। এমনই খবর ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। দলের অন্দরে বহু কর্মীও এই বিষয়ে বিশেষ আশাবাদী ছিলেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও হাওড়া জেলার বালি কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় দেবাংশুর নাম ছিল। এই বিষয়ে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পড়ে রাজনীতির প্রচারকে নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন দেবাংশু। তিনি প্রার্থী হবেন বলে আশা করেছিলাম। দেবাংশু প্রার্থী না হওয়ায় আমি হতাশ।”
বালি কেন্দ্রের কর্মীরা ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। বহিরাগতদের মানা হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কর্মীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে হাওড়া সদর তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায় জানিয়েছিলেন যে দুই দফায় দলের বিধায়কেরা স্থানীয়দের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, তাই ভূমিপুত্রের দাবি অন্যায্য নয়। এই দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বালির তৃণমূল কর্মীদের দাবি মেনে নিয়েছেন মমতা। ভূমিপুত্রকেই প্রার্থী করা হয়েছে।
শুক্রবার তৃণমূল ভবনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়ে বালি কেন্দ্রে ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করান নেত্রী মমতা। বিশেষভাবে জানিয়েও দেন ওই চিকিৎসকের কথা। দেবাংশুর নাম সেখানে শোনা যায়নি। অন্য কোনও কেন্দ্র থেকেও তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি বিধানসভা নির্বাচনে। যদিও এদিন মমতা বন্দ্যপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যে যারা প্রার্থী হতে পারলেন না তাঁদের বিধান পরিষদের সদস্য করা হবে।