Home কলকাতা ‘CID তদন্ত মানে পাঁঠার ইচ্ছেয় কালীপুজো’, দুর্নীতি প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ Dilip Ghosh-এর

‘CID তদন্ত মানে পাঁঠার ইচ্ছেয় কালীপুজো’, দুর্নীতি প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ Dilip Ghosh-এর

0

কলকাতা: ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন তিনি।

রাজ্য সরকারের এনসিসি-র যে টাকা আটকে দেওয়ার ফলে এনসিসি প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে গেল। এর ফলে বাংলায় কি কেন্দ্র সরকারের অগ্নিবীর প্রকল্প তাহলে কি ব্যাহত হবে? এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সেনা-আধা সেনায় যে নিয়োগ হয় সবাই তো এনসিসি থেকে যায় না আবার সবাই এনসিসি করে না। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের যুবকদের যুবতীদের দেশ প্রেম ও নিয়মাবর্তিতার প্রশিক্ষণ হওয়া উচিত। তাই কোটি কোটি টাকা খরচা করে স্কুলজীবন থেকেই ডিসিপ্লিন আনার চেষ্টা হয়। এটি একটি বড় অভিযান হিসেবেই চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি মনে করে তাদের পার্টির নেতাদের মত সবাই চরিত্রহীন আর চোর হোক তাহলে এখানে এনসিসি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ তারা বুঝে গিয়েছে এনসিসি করলে কেউ মা মাটির ঝান্ডা ধরবে না সেইজন্যই হয়তো বন্ধ করে দিচ্ছে।

রাজ্য সরকারের চালু করা শিশু সংসদ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, “এরকম চেষ্টা এর আগেও অনেক হয়েছে। সিপিএমও চেষ্টা করেছিল কিশোর বাহিনী নাম দিয়ে। আমাদের সমাজে সাধারণ মানুষ যে পারিবারিক সংস্কার পায় তারা এই ধরনের রাজনীতির মধ্যে ছেলেমেয়েরা পড়বে না। এখনকার রাজনৈতিক নেতাদের যা স্তর কে চাইবে তাদের ছেলেমেয়েরা রাজনীতি করতে যাক। কটাক্ষের ভাষায় বলেন, ” শাসক দল চেষ্টা করে নিজের দলের মধ্যে সংস্কার নিয়ে আসুক। নিজের নেতাদের সংস্কার করুক যাতে তাঁরা এই ধরনের দুর্নীতি, ভ্রষ্টাচার থেকে যেন মুক্ত থাকে এতে সমাজেরও ভালো হবে, দলেরও ভালো হবে।”

বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রকাশ্য জনসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “এই ধরনের সমাজে যারা দুষ্কৃতকারী তারাই তৃণমূলের নেতা, তাদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার, ভালো ভাষা কি আশা করা যায়? দলের এমন অবস্থা বিজয়া সম্মেলনীতে পুলিশ নিয়ে যেতে হচ্ছে। নিজেদের মারামারি হচ্ছে, নেতায় নেতায় মারামারি কাটাকাটি হচ্ছে। পঞ্চায়েত থেকে কাউন্সিলার থেকে এমএলএ বিভিন্ন স্তরের নেতারা খুন হয়ে যাচ্ছে, কে করেছে দলের লোকেরাই করছে। দুষ্কৃতকারী যারা সমাজের নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষ তারা নেতৃত্বে এসে গেছে বাংলার দুরবস্থা যা হওয়ার তাই হয়েছে।”

ভাইফোঁটার দিনে রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে দিলীপ ঘোষ। তিনি আক্রমণ করে বলেন, ‘মা-বোনেদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। যদি সরকারের হাতে ছেড়ে দিলেই বগটুই হবে। আমাদের সংকল্প হওয়া উচিত মাতৃসমাজ বা নারী সমাজের সম্মান সুরক্ষিত করার সংকল্প নেওয়া উচিত।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করে দিয়েছেন কে চোর কে নয়। যে কেষ্ট সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা চুরি করেছে সে চোর নয়, অথচ তিনশো-সাড়ে তিনশো কোটি টাকা চুরি করলেই সে চোর। অর্থাৎ পাঁচশো কোটি টাকার নীচে হলেই তাঁকে চোর বলা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দলের নেতা মন্ত্রীরা সেই কথাই বলছেন।’

অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিল নিয়ে সিআইডি তদন্ত শুরু হয়েছিল কিন্তু কোনও কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘রাজ্যে সিআইডি তদন্ত মানেই পাঁঠা দিয়ে কালীপুজো করা। এখন পাঁঠা দিয়ে পুজো করালে তো ওর বলি হবেই। যখন আন্দোলন হয় তখন চাপের মুখে SIT হয় কিংবা সিআইডি দিয়ে তদন্ত করানো হয়। আজ অবধি কোনও তদন্তের রিপোর্ট এসেছে কি? কেউ শাস্তি পেয়েছে? দুর্নীতির সরকার চায় লুঠ হোক আমরা ভাগ খাব।’

Exit mobile version