‘জয় শ্রীরাম’ বন্ধ করে দেওয়ার আইনি পরামর্শ মমতাকে দিলেন দিলীপ ঘোষ

0
76
Dilip Ghosh on budget

পলাশ নস্কর, কলকাতা: বন্দে ভারত উদ্বোধনে অনুষ্ঠান মঞ্চে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঠার সময় বিজেপি নেতারা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে থাকেন৷ এরপরই মঞ্চে উঠতে আপত্তি জানান তিনি৷ এই প্রসঙ্গে শনিবার সকালে ভ্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷

তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম, বদনামের ধার ধারেন না। টাকার থলি নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ঘোরেন। কিন্তু কিছু করতে পারেন না। কারণ ওনার এই আচরণের জন্য। আমাদের দেশে বন্দে মাতরম বা জয় শ্রীরাম বলতে আইনি বাধা নেই। কিন্তু তা সত্বেও জয় শ্রীরাম শুনলে উনি ক্ষেপে যাচ্ছেন কেন?’’

- Advertisement -

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘এদিনে আমাদের পিছনে তো রোজ জয় বাংলা বলছেন। আমরা কি ক্ষেপে যাই? যদি আপনার জয় শ্রীরাম শুনতে আপত্তি থাকে, বিধানসভায় বিল নিয়ে আসুন। রোজ তো কিছু না কিছু বিল আনেন। বিল এনে পাস করিয়ে রাজ্যে জয় শ্রীরাম নিষিদ্ধ করে দিন। ইংরেজরা সার্কুলার জারি করে দেশে বন্দে মাতরম বলা বন্ধ করেছিল। তৃণমূল জয় শ্রীরাম ব্যান করে দিক। মানুষ বুঝে যাবে, এরা কারা?’’

তাঁর কথায়, ‘‘ওনার রাজনীতিটাই নেগেটিভ। শুধু নাটক। আগে তো জয় শ্রীরাম বলায় কিছু লোককে জেলে ঢুকিয়েছিলেন। সারা বাংলার লোক ক্ষেপে আছে। গণতন্ত্রে চলতে পারে না। আপনারা তো সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের এমপি, এমএলএ-দের ডাকেন না। আমরা তো তাও ডেকেছি। সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই প্রকল্পে ওনার কোনো অবদান নেই। উনি রাতে শুয়ে শুয়ে একদিন স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন সফল করেছেন মোদিজী। সেখানে গেস্ট হয়ে তাঁরা আপনার রাজ্যে এসেছেন। আপনি এমন ভাব করছেন, যেন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।’’

‘‘ওনার রেলের সঙ্গে কি সম্পর্ক? ওনার জন্মের আগে থেকে হাওড়ায় ট্রেন চলছে। বন্দে ভারত মোদী উপহার দিয়েছেন। তার দলের নেতা মন্ত্রীরা আসবে না তো কে আসবে? আমি তো মঞ্চে উঠিনি। পিছনে বসে ওনার নাটক দেখছিলাম। অনুষ্ঠান যখন চলছে, মোদিজী ভাসন দিচ্ছেন, উনি তখন মুখ্য সচিবের সঙ্গে গল্প করছেন। আপনার গল্প করার জন্য তো নবান্ন আছে। সেখানে করুন। বাঙালির যেটুকু মান সম্মান ছিল, এরা ডুবিয়ে দিচ্ছে।’’ দাবি করেন দিলীপ৷

বোলপুরে বন্দে ভারত ঘিরে বিশৃঙখলা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার বক্তব্য, ‘‘মানুষের বিপুল উৎসাহ। সবাই উঠতে চায় ট্রেনে। দেখতে চায়। এতো বড় ব্যাপার। বোলপুর স্টপেজ পেয়েছে। তাই যেখানে ট্রেন থেমেছে, সেখানে দলমত নির্বিশেষে সবাই এসেছেন। রাজধানী এক্সপ্রেস কত বছর ধরে চলছে? স্পিড আটকে রাখা হয়েছিল। মানুষ খুব উৎসাহী। তাতেও অনেকের কষ্ট হচ্ছে৷’’