কলকাতা: আর হাতে ১০০ দিনও নেই। বাংলার সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে পুজোর থিমো সেট হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গাতে আবার পুজোর প্যান্ডেলের বাসও পড়ে গিয়েছে। এই আবহেই পূজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটে বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারের মতোই ক্লাবগুলিকে পুজোর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার আর ৭০ হাজার নয় অনুদান এক লাফে বাড়লো হাজার টাকা।
দুর্গাপূজা কমিটিগুলোকে পুজোর জন্য ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই টাকার পরিমাণ কত বছর বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৭০ হাজার টাকা। এবার আর ৭০ হাজার নয় একলাফে পুজো কমিটি গুলিকে এবার দেওয়া হবে ৮৫ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়, আগামী বছর এই কমিটিগুলোকেই এক লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলের ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। কতবারে ছাড় দেওয়া হয়েছিল ৬৬ শতাংশ। সেই ছাড়ের পরিমাণই এবার বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫ শতাংশ। পাশাপাশি ক্লাবগুলির ফায়ার লাইসেন্স সহ করও মুকুব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার।
জানিয়ে রাখা ভালো, দুর্গা পুজোর আর বাকি রয়েছে মাত্র ৭৬ দিন। ৯ অক্টোবর শুরু পুজো অর্থাৎ ষষ্ঠী। আগামী ১৫ অক্টোবর হবে মেগা কার্নিভাল। এদিন অনুদান ঘোষণার পাশাপাশি বাজেট নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন বাজেট থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জানেন তো আজও বাজেট হয়েছে আমরা কিচ্ছু পাইনি। বাংলার ভাগ্যে শূন্য জুটেছে। বিদ্যুতের ছাড় আগের বার ছিল ৬৬ শতাংশ। এবার ৭৫ শতাংশ ছাড়। গতবার অনুদান কত পেয়েছিলেন? এবার ৫০ করে দিই? পুজো কমিটিগুলো কী বলছে? প্রথম শুরু করেছিলাম ২৫ হাজার দিয়ে। তারপর আস্তে-আস্তে ৭০-এ এসেছে। এবারে যদি সব করে দিই আগামী বছর কী হবে? আসছে বছরের জন্য কিছু তো রাখতে হবে? এবার ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করলাম। এই গরিব সরকার আর কী করতে পারে বলুন? বাদ বাকি ম্যানেজ করে নেবেন। আগামী বছর ১ লক্ষ করে দেব। দু’বছরেরটা ঘোষণা করে দিলাম।” প্রধান ঘোষণার পাশাপাশি পুজো কমিটি গুলিতে সমস্ত রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সাধারণ মানুষের দুর্গা ঠাকুর দেখতে যেন কোনরকম কোন অসুবিধা না হয় সেই সমস্ত ব্যবস্থা করার কথা এদিন পূজা উদ্যোক্তাদের আরও একবার মনে করিয়ে দেন। বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সামাল দিতে সমস্ত ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয় সেই দিকে পুলিশকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভিড়ের মধ্যে পদপিষ্ট হওয়ার মতো যাতে কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেই দিকেও সজাগ থাকার কথা বলেছেন।