কলকাতা: মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আরজিকরের মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলাকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সময় চেয়েছিলেন রবিবার পর্যন্ত। তার আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।এরপরেই জোরকদমে ময়দানে নেমে তদন্ত শুরু করেছে CBI আধিকারিকরা। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই CBI আধিকারিকরা পৌঁছে যান টালা থানায়। সেখান থেকে এই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে CBI দফতরে এসেছেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, আরজি কর-কাণ্ডের সার্টিফাইড কপি নিতে থানায় পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তারপরেই সেখান থেকে সমস্ত নথিপত্র ইতিমধ্যেই টালা থানার পুলিশ হস্তান্তর করে দেয় সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৎপর হয়ে এই মামলার তদন্তে নেমেছে, তবে এখনো এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়কে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। সিবিআই দফতরেও আনা হয়নি গ্রেফতার হওয়া ওই অভিযুক্তকে।
এর মধ্যেই আবার আরজিকরে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বাম-ছাত্র যুবদের বিক্ষোভে উত্তাল ক্যাম্পাস। আরজিকরে সেমিনার রুমের পাশে সংস্কারের কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। সেই খবর আগেই উঠে এসেছিল সংবাদমাধ্যম। তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতেই তড়িঘড়ি এই সংস্কার? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। এ প্রসঙ্গে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কোনওভাবেই আমরা প্রমাণ লোপাট করতে দেব না।’
উল্লেখ্য, আদালতের আজকের এই CBI তদন্তের নির্দেশের আগে সোমবার রাতে নির্যাতিতার বাবা জানান, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছি। পুলিশের ওপরেও আস্থা আছে।’ বিভিন্ন সংগঠন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। প্রত্যেকের কাছেই তিলোত্তমার বাবার একটাই আর্জি, ‘ন্যায় বিচার চাই’। তিনি জানিয়েছেন, যাঁরাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখছেন, সবাই একই কথা বলছেন। ডাক্তার ফোরাম থেকে শুরু করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, সবাই বলছেন, ‘এটা একজনের কাজ নয়, একার পক্ষে এরকম ঘটনা সম্ভব নয়।’ পুলিশের ওপর আস্থা রাখলেও তিলোত্তমার বাবা বলেন, আর জি কর হাসপাতালে চেস্ট মেডিসিন বিভাগে যারা আছে, তাদের সবাইকেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছি।