কলকাতা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা করতে চেয়েছিলেন ঐশী ঘোষ৷ কিন্তু তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে। কারণ হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বহিরাগত কাউকে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে সভা করতে দেওয়া হয় না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরেই দাঁড়িয়ে সভা করলেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ।
সভা শেষে সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত পথযাত্রা করেন ঐশী৷ মিছিলে ছিলেন এসএফআইের সমর্থকরা৷ পা মেলাতে দেখা যায় একাধিক বিশিষ্টজনদের।
ঐশীকে নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা করার পরিকল্পনা ছিল এসএফআইয়ের। তাই ক্যাম্পাসে পোস্টার লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপক এবং কর্মচারিদের সভায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানায় তারা। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদেরকে সভা করতে দেওয়া হয়নি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে না দেওয়ায় গেটের সামনেই বক্তৃতা দেন ঐশী। তিনি বলেন, ‘‘কোন কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া হবে, আর কোনটায় দেওয়া হবে না, তা আগে ঠিক করতে হবে রাজ্য সরকারকে। আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি, আমাদের কেন আটকানো হচ্ছে?’’
সভাতে ঐশী আরও বলেন, ‘‘আসলে প্রতিবাদে ভয় পাচ্ছে আরএসএস-বিজেপি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তর্ক-বিতর্ক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বন্দি করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় এসব চলবে না। ধর্মের নামে বাংলাকে কখনও ভাগ হতে দিইনি আমরা, আর কখনও দেবও না। আরএসএস-এর রাজনীতি মানি না আমরা। একজোট হয়ে ওদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’’
এই সভার বিরুদ্ধে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘জেএনইউতে বহিরাগতদের আক্রমণ নিয়ে ঐশী ঘোষ নিজেই সরব হয়েছিলেন। আমরাও বহিরাগতদের আক্রমণের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের বুকে সে নিজেও বহিরাগত৷ তাই যেকারনেই হোক না কেন অনুমতি ছাড়া তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে সভা করার কথা ভাবাই উচিত হয়নি। এটা অনৈতিক এবং ঐশীর কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।’