কলকাতা: প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যের অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে৷ যা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া সামনে আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷
বললেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের সংবিধান মেনে বিরোধীর অধিকার আছে। এরাজ্যে সেটা মানা হয় না। কিন্তু গুজরাতে কংগ্রেস, বিজেপি উন্নয়নে রাজনীতি করে না। তাদের অগ্রগতি হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য, এরাজ্যে আগে রাজনীতি।’’
এরপরই পরামর্শের সুরে যোগ করেছেন, ‘‘শুভেন্দুবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। যে আমাকে হারিয়েছেন, তাকে তো সন্মান করতে হবে। এরা সেটা শেখেনি। কিন্তু সম্মান করা উচিত ছিল!’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যের শাসকদল বিরোধীদের যোগ্য সম্মান জানাচ্ছে না, এটা স্পষ্ট করতে গিয়ে আদতে কৌশলে মমতার পরাজয়ের কথা টেনে এনে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন সুকান্ত৷ যদিও এবিষয়ে শাসকদলের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও সামনে আসেনি৷
কেন্দ্রের দেওয়া ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ ইতিমধ্যেই একাংশের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার সাম্প্রদায়িক বিভাজনের লাইন থেকে না সরায় এই প্রত্যাখ্যান৷ যার জবাবে সুকান্ত বলেন, ‘‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সামাজিক ও প্রশাসনিক অবদানকে মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করেছে দেওয়া উচিত। তাই দিয়েছে৷ প্রত্যাখ্যান তারাই করছেন যারা রাজনীতি করছেন এর মধ্যে। এটা অনভিপ্রেত।’’
একই সঙ্গে এই ইস্যুতে সিপিএমকে আক্রমণ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘এতক্ষণ আমরা রাজনীতি করি নি। কিন্তু আমরাও বলতে পারি, পাকিস্তান আগে ভাগ হবে, তারপর দেশ স্বাধীন বলেছিলেন কমিউনিস্টরা। তাদের দেশ বিরোধী নানা মন্তব্য আছে। আমরা ওটা এখানে আনতে চাইছি না। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য দেশের গুণীদের স্বীকৃতি দেওয়া। সেটাই করা হয়েছে৷’’
বুদ্ধ ইস্যুতে নাম না করে গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে এনে তৃণমূলের খোঁচা, বুদ্ধদেবের বিতর্কিত কাজকে সমর্থন করে বিজেপি৷ যদিও সুকান্তের পাল্টা ব্যাখ্যা, ‘‘প্রশাসনিক ও সামাজিক কাজের জন্য তাকে পদ্মভূষণ দেওয়া হচ্ছে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যখন ছাদ দিয়ে জল পড়ার খোঁজ নেন, সেটাও কী সমর্থন! এটা সৌজন্য। সংবিধান মেনে বুদ্ধবাবু, সুজনবাবু কাজ করছেন তাদের মতাদর্শে। আমরা আমাদের মতাদর্শে করছি। এর উর্ধে সরকার ও সৌজন্য।’’
আরও পড়ুন: বিনা হেলমেটে গাড়ি চালান, কড়া আইন আনল রাজ্য