কলকাতা: প্রচারে বেরিয়ে দেখা হল বিরোধী দলের প্রার্থীর সঙ্গে৷ যুযুধান দুই শিবিরের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনায় তৈরি হল রাজনৈতিক উত্তেজনাও৷ তবে, অবশ্যই সেই উত্তেজনা ছিল ‘পজিটিভ’!
নমস্কার, শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে হল রাজনৈতিক সৌজন্য বিনিময়৷ একই সঙ্গে প্রতিপক্ষের হাত ধরে বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গেল, ‘‘লড়াইয়ের জায়গা ছাড়বে না!’’
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চার পুর নিগমে ভোট৷ তারই অন্যতম বিধাননগর৷ জুম্মাবারের সকালে বিধাননগর পুরনিগমের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী স্বাগতা দেবের সমর্থনে বিজেপি নেতা তথা কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সজল ঘোষ প্রচারে বেরিয়েছিলেন। ওয়ার্ডে কর্মীদের নিয়ে ভোট প্রচারের মাঝেই তাঁর সঙ্গে হঠাৎ রাস্তায় দেখা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী সাথী চক্রবর্তীর৷
দুজনের মধ্যে সৌজন্য বিনিময়ের পর পরস্পর পরস্পরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিলেন৷ সেখানেই সাথীদেবীর হাত ধরে সজল ঘোষ বললেন, ‘‘লড়াইয়ের জায়গা ছাড়বে না৷’’ পরে সজলবাবু বলেন, ‘‘সাথীদেবীকে অনেকদিন ধরেই চিনি৷ রাজনীতির ময়দানে আমরা প্রতিপক্ষ হলেও প্রত্যেকের উচিত প্রত্যেককে সম্মান করা৷ আমরা সেই আবহটাই ধরে রাখার চেষ্টা করছি৷’’
সাথী দেবীও বললেন, ‘‘সজলবাবু সজ্জন রাজনীতিক৷ আমরা পরস্পর পরস্পরের খোঁজ খবর নিলাম৷ দলগতভাবে আমরা আলাদা হতেই পারি৷ কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কোনও সমস্যা ছিল না, হবেও না৷ কারণ আমরা সেই রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় রাখতে চায়৷’’
যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে যেখানে রাজনীতি মানেই হানাহানি কাটাকাটি রীতিমতো জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে এমন রাজনৈতিক আবহ এখনকার দিনে সত্যি বিরল৷ তবে এই ধারা সব দল বজায় রাখলে আদতে শান্তি অক্ষুন্ন থাকবে৷
আরও পড়ুন: বেসুরো আরও এক বিজেপি বিধায়ক, নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের আবেদন