
কলকাতা: করোনা কাটা সরিয়ে বইমেলা শুরু হলেও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চিন্তায় পড়েছিল বই বিক্রেতা ও প্রকাশকরা। অবশেষে কাটল জট, স্বস্তি পেলেন সকলে। রাজ্যের তরফে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রকাশক ও বই বিক্রেতাদের ট্রেড লাইসেন্স মকুব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সারাদিনের সমস্ত খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন খাস খবর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor
রবিবার পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার গিল্ডের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চার্জ করা লিটল ম্যাগাজিন সহ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণকারীদের অস্থায়ী ট্রেড লাইসেন্স মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোদ রাজ্যের নগর ও পৌর বিষয়ক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং নগর ও পৌর বিষয়ক প্রধান সচিব খলিল আহমেদ। জানানো হয়েছে, লিটল ম্যাগাজিন সহ সকল প্রকাশক যারা ইতিমধ্যেই ট্রেড লাইসেন্স জমা করেছে তারা অবিলম্বে কর্পোরেশনের থেকে টাকা ফেরত চাইতে পারে। বাংলার সকল প্রকাশকরা এর ফলে চিন্তামুক্ত হতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার গিল্ডের সদস্যরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এই পদক্ষেপের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। সভাপতি সুধাংশু শেখর দে এবং সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় মনে করছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রকাশক ও বই বিক্রেতারা আরও উৎসাহিত হবে। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে কাছে নিজেদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই মাধ্যমিক অথচ মেলেনি Admit card, বিক্ষোভে পড়ুয়ারা
বইমেলা শুরু হওয়ার পর একপ্রকার গিল্ডের আর্জি মেনেই মাঠের একটি অংশকে ‘বইমেলা প্রাঙ্গন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপরও চিন্তা বাড়ছিল প্রকাশক ও বিক্রেতাদের মনে। কয়েকদিনের স্টলের জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতেই ধাক্কা পড়ছে কমপক্ষে ৫০০ টাকা। করোনার আগেও যেখানে টাকার অঙ্কটা ছিল ২০০-র মধ্যে। ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিনের দুটি বড় স্টল ছাড়া রয়েছে প্রায় ৬৫০ টি স্টল। সূত্রের খবর, লিটল ম্যাগাজিনের থেকে এই প্রথম ৩০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। করোনা আবহে বইমেলা চালু করার পরিকল্পনা চলছিল। তাই কতটা সফল হবে সে নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে সম্প্রতি গিল্ড কর্তারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার পর্যন্তই ব্যবসা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকার। আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত রয়েছে বইমেলা। সেক্ষেত্রে ২০২০-র মোট ব্যবসার অঙ্ককেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।