নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: দুই বছর ধরে নানাবিধ আন্দোলন করে পরিচিত লাভ হয়েছিল আগেই। এবার জাতীয় সম্মেলন করল বাংলাপক্ষ। নিজেদের বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগঠন বলে দাবি করা বাংলাপক্ষের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল কলকাতার আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শতাধিক প্রতিনিধি হাজির ছিলেন সেই সম্মেলনে।
রবিবার দক্ষিণ কলকাতার হাজরায় অবস্থিত আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে বাংলাপক্ষের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি জেলা থেকে মোট ২০০ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। উত্তরবঙ্গের সদস্যরা এসে গিয়েছিলেন আগেই। তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও করে হয়েছিল সংগঠনের পক্ষ থেকে।
গত মাসেই এই জাতীয় সম্মেলনের কথা জানিয়েছিলেন বাংলাপক্ষের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেই ঘোষণা করেছিলেন জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে পরিকল্পনার কথা। সেদিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন সম্মেলনের তারিখ। বাংলা এবং বাঙালির স্বার্থে পূর্বনির্ধারিত পথেই আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাপক্ষ। বাংলার মাটিতে শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণের দাবিতে আগামী দিনেও বাংলাপক্ষ পথে নামবে বলে জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে জারি থাকবে নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বাংলাপক্ষের আন্দোলন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এই মুহূর্তে প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাপক্ষ নামক এই সংগঠনটি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু সহযোদ্ধা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠন ছেড়েছেন গত কয়েকদিনের মধ্যে। যাদের অধিকাংশই কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলার বাসিন্দা। সংগঠনের পসার বাড়াতে তাঁদের বড় ভূমিকা ছিল। মাস খানেক আগে কয়েকজন সদস্যকে বহিষ্কার এবং সেই বহিষ্কৃত সদস্যদের নতুন সংগঠন চালু করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বাংলাপক্ষ এবং বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এরই মাঝে সফল জাতীয় সম্মেলন যেন অনেকটাই অক্সিজেনের জোগান দিল সংগঠনের নেতৃত্বদের।
প্রথম জাতীয় সম্মেলন সফল হওয়ার কারণে এখন আর ছেড়ে যাওয়া সদস্যদের নিয়ে ভাবতে নারাজ বাংলাপক্ষ। এই বিষয়ে বাংলাপক্ষের অন্যতম প্রধান মুখ কৌশিক মাইতি বলেছেন, “ছেড়ে যাওয়া নিয়ে ভাবিত নই৷ কারণ সম্মেলনের দিনে দেখালাম, বাংলাপক্ষকে যারা ভালোবাসে, যারা সত্যিই বাঙালির অধিকারের কাজ করতে চায়, তারা বাংলাপক্ষেই আছে। আর আগামী দিনে বাঙালি জাতীয়তাবাদী, সংগঠন নিবেদিত প্রাণ সহযোদ্ধারাই সংগঠনের ভার পাবে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “বাংলাপক্ষ কলকাতা কেন্দ্রিক সংগঠন নয়। জেলা জেলা জুড়ে বাংলা ব্যাপী সংগঠন। কলকাতা ভিত্তিক নানা রকম ষড়যন্ত্র কলকাতা বাংলাপক্ষর সমস্যা হতে পারে, সামগ্রিক ভাবে বাংলাপক্ষর সমস্যা না৷”