কলকাতা: আরজিকরে হামলার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। ১৪ অগস্ট রাতে আরজিকর হাসপাতালে ঢুকে দুষ্কৃতিদের ভাঙচুরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। এমনকি সাংবাদিকদের ওপরও আক্রমণ হানে দুষ্কৃতিরা। এবার ১৪ অগস্টের রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় সৌমিক দাস(Soumik Das) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল লালবাজার।
সৌমিকের গ্রেফতারির ঘটনা একটু অস্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন প্রথমে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সৌমিক। এরপর নিজেই যান নাগেরবাজার থানায়। সেখান থেকে খবর যান কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখায়। আধিকারিকরা থানায় আসেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর লালবাজারের নিয়ে যায়। সৌমিক হামলার কথা স্বীকারও করেন।
জানা গিয়েছে, দমদমের পূর্ব সিঁথি এলাকার বাসিন্দা সৌমিককে গ্রেফতার করে নাগেরবাজার থানা থেকে কলকাতা পুলিশ লালবাজারে নিয়ে যায়। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা নাগেরবাজার থানায় এসে পৌঁছন। সেখানে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর নাগেরবাজার থানা থেকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় সৌমিককে।
সূত্রের খবর অনুসারে জানা যাচ্ছে, সৌমিক দাসের সঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর রাজু সেন শর্মার নাম জড়িয়ে। রাজুর ঘনিষ্ঠ সৌমিক দাস, এমনটাই খবর মিলছে। তবে তাঁর দাবি, তিনি গিয়েছিলেন প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হতে। সেই সময় অন্যদের সঙ্গে হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর করেন। সৌমিক দাসের কথায়, “মিছিলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে যখন সকলে ভাঙচুর করছে দেখি, ইমোশনাল হয়ে আমিও ভাঙচুর করি। আমার অপরাধ হয়েছে, ভুল হয়েছে।”
সৌমিকের জানিয়েছেন, তিনি নিজে থেকেই যান ১৪ অগস্টের রাতে। সৌমিক বলেন, “আমার সঙ্গে জিম করেন এরকম অনেকেই গিয়েছিলেন। সকলে ঢুকছিল, আমিও ঢুকে গেলাম ভিতরে। এরপরই বৃহস্পতিবার পুলিশ ফোন করে।”
এ বিষয়ে রাজু সেন শর্মা বলেন, “সংবাদমাধ্যমের বলার পর ছেলেটাকে চেনার চেষ্টা করি। তারপর দেখলাম ওই এলাকায় থাকে। আমি বর্তমানে যে ওয়ার্ডের প্রতিনিধি, ছেলেটি সেখানে থাকে না। তবে যে যাই করুক, ছেলেটি আমার ঘনিষ্ঠ নয়। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত।”