কলকাতা: এই নিয়ে ষষ্ঠবার সন্দীপ ঘোষ হাজির CBI দফতরে। আরজিকর নিয়ে এখন মামলা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের চাপে পড়ে রাজ্য। এই মামলার তদন্তের গতির রিপোর্ট বৃহস্পতিবারের মধ্যেই জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে। তবে এখনও CBI-র কাছে একই দাবি সন্দীপ ঘোষের(Sandip Ghosh)। দাবি করেছেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তবে তিনি কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন জানিয়েছেন গোয়েন্দাদের।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, “খারাপ খবরটা পাওয়ার পর নিয়ম মেনে যা যা করার সব করেছি। কোনও প্রমান লোপাট হয়নি।” ঘটনার পর পরিবারের তরফ থেকেও দাবি করা হচ্ছে, হাসপাতালের তরফ থেকে ফোন করে প্রথমে বলা হয়েছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়।
সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, তিলোত্তমার বাড়িতে হাসপাতালে তরফে করা ২টি ফোন কলের বিষয়ে তিনি জানেন না। তিনি কাউকে ফোন করতে বলেননি বলে দাবি করেছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা প্লেস অফ অকারেন্সে থ্রি ডি স্ক্যানিং করা হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনও রকমের সূত্র খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বয়ানে একাধিক ক্ষেত্রে অসঙ্গতি রয়েছে। এখনও অনেক ক্ষেত্রে মিসিং লিঙ্ক রয়েছে সন্দীপের বয়ানে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার প্রকাশ্যে আসার আগে থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।