কলকাতা: আরজিকর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে ‘রাত দখলে মেয়েরা’ প্রতিবাদ জমায়েতে সামিল হয়েছিল গোটা রাজ্যের মহিলারা৷ এরপর পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরাও প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেয়৷
এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই। সকাল ছ’টা থেকে শুরু হয়েছে বনধ। চলবে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত। যদিও প্রতিবারের মতো এবারও নবান্নের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বনধের দিন জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক রাখা হবে। নামানো হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস।
অন্যান্য দিন ৯০০ বাস চলে৷ কিন্তু শুক্রবার ১১৫০ টি বাস পথে নামানো হয়েছে৷ কলকাতার মতোই জেলাতেও অতিরিক্ত বাস চালাবে সরকার। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম ৬৯২ টি বাসের পরিবর্তে ৮২৬টি বাস চালাবে৷ উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগম ৬০৫টির বদলে ৬৫৫টি বাস চালাবে।
পরিবহণ দফতরের দাবি, শুক্রবার রাজ্য জুড়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেসরকারি, বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব এবং অটো মালিকদের সংগঠনগুলি। অন্যদিকে, চারটি কারণ ছাড়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
এদিন কলকাতায় মেট্রো পরিষেবাও স্বাভাবিকই থাকবে। পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে ব্লু লাইন (দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া), গ্রিন লাইন (হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ), অরেঞ্জ লাইন (নিউ গড়িয়া থেকে রুবি) এবং পার্পল লাইনে (জোকা থেকে মাঝেরহাট)৷