কলকাতা: ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এখন ভোট বা মেলার পক্ষপাতী নয়’৷ বাড়তে থাকা সংক্রমণের দাপটের মাঝে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে একথাটাই বলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দলের অন্দরের মতপার্থক্যকে ঘিরে এনিয়ে গত ২৪ ঘণ্টা দলের একাধিক প্রথমসারির নেতা প্রকাশ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করলেও অবশেষে অভিষেকের মতের স্বপক্ষেই আস্থা রেখেছে সরকার৷ এমনকি এহেন আবহে ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে নিয়ে একমত আদালতও৷ ফলে সত্যি কি পুরভোট পিছিয়ে যাবে? লাখ টাকার এই প্রশ্নের নিরসন হতে চলেছে আজ দুপুরেই৷
ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের দাপটে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ আগামী ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ভোট স্থগিত করা যায় কি না, তা বিবেচনা করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সূত্রের খবর, আজ দুপুরে এবিষয়ে আদালতে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷
কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রাতারাতি তো আর সংক্রমণ আয়ত্তে আনা যাবে না৷ সেক্ষেত্রে চার পাঁচ সপ্তাহ পরেই আমরা ভোট করানোর কথা বলব৷’’ অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে হতে পারে রাজ্যের চার পুর নিগমের পুরভোট৷
ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, বৃহস্পতিবার আদালতে রাজ্যের আইনজীবীর বয়ানের পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে ভোট পিছিয়ে যাওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা৷ কারণ, রাজ্যের আইনজীবী বৃহস্পতিবারই আদালতে জানিয়েছিলেন, ‘কমিশন চাইলে ভোট পিছিয়ে দিতে পারে৷’’ এরপরই কার্যত প্রকাশ্যে বিবাদে জড়াতে দেখা গিয়েছিল কমিশনের আইনজীবীকে৷
আদালতকে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের অনুমতি ছাড়া কমিশন ভোট পিছিয়ে দিতে বা করতে পারে না৷ এরপরই শুক্রবারের শুনানিতে বিচারপতিরা রাজ্যে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে এনে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ের কমিশনকে বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেন৷
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে চলছে এই মামলার শুনানি৷ আজ দুপুরে এখানেই নিজেদের মত জানাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ তারপরই জানা যাবে চূড়ান্ত রায়৷ তবে কমিশনের অন্দরের খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুর নিগমে ভোট হবে না৷ তার পরিবর্তে বাড়তে থাকা করোনা আবহে ভোট পিছিয়ে ফেবুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে করার কথা আদালতে জানাতে পারে কমিশন৷ সূত্রের খবর, আজই কমিশনে যাচ্ছেন শাসকদলের এক প্রতিনিধি দল৷ তাঁরা লিখিতভাবে কমিশনকে ভোট পিছানোর আর্জি জানাবেন৷
আরও পড়ুন: Lockdown: সংক্রমণে লাগাম পরাতে ফের কড়া লকডাউনের পথে রাজ্য