বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: ২৯ জুলাই। যতদিন ফুটবল নামক খেলাটি থাকবে, ঠিক ততদিনই বাংলার ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে জ্বলজ্বল করবে এই তারিখটি। ১৯১১ সালের এই দিনেই ঔপনিবেশিক শাসনাধীন ভারতের বুকে ব্রিটিশ দল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান (Mohunbagan)। পরাধীন ভারতে সেটাই ছিল যেন মুক্তির প্রথম বাতাস। এই একটি খেলা— এই একটি সাফল্য এক সূত্রে বেঁধেছিল গোটা ভারতকে। পরাধীন জাতীর মনে এই বিশ্বাস এনে দিয়েছিল যে, হ্যাঁ, আমরা লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে জানি।
আরও পড়ুনঃ Paris Olympic 2024: স্বর্ণ পদকই একমাত্র লক্ষ্য নয় ভারতের ১১৭ জনের
ভারত মায়ের যে ১১টি লড়াকু ছেলে দাঁতে দাঁত চিপে ইংরেজ বুটের বিরুদ্ধে অসম লড়াইটা লড়েছিলেন সেদিন, তাঁদের জীবনে কিন্তু ফুটবলটাই একমাত্র ধ্যানজ্ঞান ছিল না। বরং একেকজন ছিলেন একেক পেশার সঙ্গে যুক্ত। যেমন সেদিন সবুজ মেরুনদের (Mohunbagan) অধিনায়ক তথা অন্যতম গোলদাতা শিবদাস ভাদুড়ী পেশায় একজন পশু চিকিৎসক ছিলেন।
শিব ভাদুড়ীর পাশাপাশি তাঁর দাদা বিজয়দাস ভাদুড়ীও ১৯১১ সালের আইএফএ শিল্ডজয়ী দলে ছিলেন। এছাড়া তাঁর আরও দুই দাদা দ্বিজদাস এবং রামদাস ভাদুড়ীও খেলেছেন মোহনবাগানের (Mohunbagan) হয়ে। কিন্তু এই পরিবার থেকে উঠে আসা শিবদাস ছাপিয়ে যান সকলকেই। কলকাতা ভেটারিনারি কলেজের সঙ্গে যুক্ত এই পশু চিকিৎসক পেশার থেকেও চিরকাল বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন ফুটবলকে। কারণ মোহনবাগান যে তাঁর আত্মার আরেক নাম। এও জানা যায়, অধিনায়ক হিসেবে ১৯১১ -এর দলের এক একজনকে নাকি তিনিই বেছে নিয়েছিলেন।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/5eGwbh7XqkKR1mRr/?mibextid=qi2Omg
১৯১১ সালের ২৯ জুলাই দ্বিতীয়ার্ধে গোরা সৈন্যদের জালে বল জড়িয়ে সবুজ মেরুনকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন শিবদাসই। এরপর জয়সূচক গোলটি করেন অভিলাষ ঘোষ। যাকে ‘কালো দৈত্য’ নাম দিয়েছিল ব্রিটিশরা। অভিলাষ আবার ছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র। পরবর্তীতে ব্রিটিশ চা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাও হয়েছিলেন তিনি।