
বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: ফুটবল সম্রাট তিনি। ব্রাজিলকে তিনটি জুলে রিমে কাপ দেওয়ার কারিগর। কিন্তু তাঁর শেষযাত্রা যতটা সম্মানের হতে পারত আদতে হল না তা। বরং একটি নয়, একজোড়া বিতর্কে স্মরণীয় হয়ে থাকল পেলের অন্তিম যাত্রা। যা একেবারেই অভিপ্রেত নয়।
আরও পড়ুন: পরের বিশ্বকাপেও খেলবেন মেসি
প্রথম বিতর্কের কারণ বর্তমানে যাকে পেলের যোগ্যতম উত্তরসুরী বলা হচ্ছে, সেই নেইমার জুনিয়র। পেলের মত নেইমারও ব্রাজিলের ১০ নম্বর জার্সিধারী। কিন্তু ফুটবল কিংবদন্তির শেষযাত্রায় দেখা গেল না নেইমারকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কার্যত দুদিন ধরে সান্তোসের বেলমিরো স্টেডিয়ামে রাখা ছিল পেলের মরদেহ। সকলেই সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। কিন্তু একদিনও দেখা গেল না নেইমারকে।
নেইমার এ মুহূর্তে ব্রাজিলেই নেই। রয়েছেন প্যারিসে। তাঁর ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের হয়ে খেলতে নামবেন তিনি। কিন্তু পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে অল্প কিছু সময়ের জন্যও কি ব্রাজিলে আসা যেত না? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন তুলছে সংবাদ মাধ্যম। ব্রাজিলের বিশিষ্ট সাংবাদিক লুইজ দাতেনা বলেন, “নেইমার যদি ক্লাবের কাছে এ জন্য ছুটি চাইত, তা হলে নিশ্চয়ই ছেড়ে দিত পিএসজ়ি। বিভিন্ন পার্টিতে যাওয়ার জন্য ক্লাবের উপর জোর খাটায় নেইমার। অথচ পেলেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারল না। আমার মনে করি, ব্রাজ়িলের ফুটবলার হিসাবে পেলের শেষযাত্রায় আসা অবশ্যই উচিত ছিল নেইমারের।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
নেইমার যদি প্রথম বিতর্কের নাম হয়, পেলের শেষযাত্রায় দ্বিতীয় বিতর্কের নাম জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ফিফা প্রেসিডেন্ট। তিনি অবশ্য পেলের অন্তিম যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেখানে যা করেছেন তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ফুটবলপ্রেমীরা। পেলের খোলা কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে সেলফি তুলতে লেখা গিয়েছে ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনোকে। ফিফা সভাপতি হয়েও এ কাজ কীভাবে করতে পারলেন তিনি? তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ঘটনাটি নিয়ে। সব মিলিয়ে ফুটবল সম্রাটের শেষ বিদায়টা যথাযথ যেন হল না।