
বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: জিতল জাপান। হারল স্পেন। ছিটকে গেল জার্মানি। কিন্তু রক্ষা পেল অন্য গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যেই শেষ ১৬ তে পৌঁছে যাওয়া আর্জেন্টিনা। নাঃ শুধু রক্ষা পেল বললে কম বলা হয়। কার্যত এক বড়সড় ফাঁড়া কাটল আলবিসেলেস্তেদের। এবারে তৃতীয়বারের মত বিশ্বজয়ের আশা করতেই পারেন নীল-সাদা সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ১২ বছরেও নেভেনি সুয়ারেজের হ্যান্ডবল বিতর্কের আগুন, আজ ফের উরুগুয়ে-ঘানা
জার্মানি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতেই ফাঁড়া কাটল মেসিদের। কারণ জার্মানি-ই সেই দল, যারা বারেবারে বিশ্বকাপের মঞ্চে শক্ত গাঁট হয়ে দেখা দিয়েছে আলবিসেলেস্তেদের জন্য। এই প্রতিপক্ষকে হারিয়েই অবশ্য ১৯৮৬ সালে শেষবার বিশ্বসেরার খেতাব জিতে নিয়েছিল তারা। কিন্তু এরপর থেকে জার্মানি মানেই অভিশাপের নামান্তর। জার্মানি মানেই কঠিন ঠাঁই।
এমনকি ১৯৯০ সালে ঠিক পরের বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে-ই চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি। আর একবিংশ শতাব্দীর ছবিটি তো একেবারেই শোচনীয়। ২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৪— টানা তিন বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে হেরে বিশ্বকাপ শেষ হয় মেসিদের। ২০০৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে হার। ২০১০ সালেও কোয়ার্টার ফাইনালে হার। তবে এবারে আর টাইব্রেকার অবধি খেলা গড়ায়নি। নির্ধারিত সময়ে ০-৪ হার। এরপর ২০১৪ বিশ্বকাপে তো একেবারে মোক্ষম সময়ে মোহভঙ্গ। ফাইনালে এক্সট্রা টাইমের একেবারে শেষ মুহূর্তে জার্মানদের কাছে হেরে রানার্স মেসিরা।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
২০১৮ বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা হয়নি। কিন্তু এবারে কাতারে-ও ছিল ইতিহাস পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা। বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই বলেছেন, মেসিকে যদি নিজের কেরিয়ার বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে শেষ করতে হয়, তাহলে অবশ্যই বাঁচতে হবে এই ফাঁড়া থেকে। অদৃষ্টের অমোঘ বিধানে শেষমেষ বেঁচেই গেলেন লিও মেসিরা। জাপান স্পেনকে ২-১ হারানোয় গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থেকে টানা দ্বিতীয়বার গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিতে হল ২০১৪ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তাহলে কি সত্যি সত্যিই এবারে বিশ্বকাপ মেসির হাতে উঠতে চলেছে?