খাস খবর ডেস্ক: সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বাংলার মহান ব্যক্তিত্বরা অনেক আগেই সোনার বাংলা গড়েছেন। পালটা পদ্ম শিবিরের পক্ষ তেকে দাবি করা হয়েছে যে সেই সোনার বাংলা বামেদের ৩৪ বছর এবং তৃণমূলের ১০ বছরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- শ্রীলেখার ‘অশ্লীল’ মধ্যমা আঙুল ব্রিগেডের হটকেক
এই অবস্থায় আগামী দিনের বাংলার তথা সোনার বাংলায় নিজের স্বাছন্দ্যের পোশাকের ব্যবহার নিয়ে সন্দিহান অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। নিজেকে কট্টর বামপন্থী বলে দাবি করা এই অভিনেত্রী গত প্রায় একবছর ধরে রাজনৈতিক মঞ্চে নিজের উপস্থিতি জাহির করেছেন। বামেদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। সেই অভিনেত্রীই ভবিষ্যতে বাংলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে পাড়ি শতাধিক রোহিঙ্গার
বুধবার দুপুরের দিকে নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে একটি ছবি পোস্ট করেন শ্রিলেখা মিত্র। জিমে শরীর চর্চা করার সময়ে নিজের শরীরেরনিচের অংশের ছবি তূলে পোস্ট করেন তিনি। টি-শার্ট, হট প্যান্ট এবং জুতো পরিহীতা শ্রিলেখার ছবির ক্যাপশনে ছিল রাজনৈতিক ইঙ্গিত।
ছবির ক্যাপশনে অভিনেত্রি লেখেন, “গরমকালে ছোট পোশাকে আমি বেশ স্বছন্দ্য বোধ করি, আচমকা আমার মাথেয় একটা প্রশ্ন এল। আমার এই জীবনযাত্রা বহাল থাকলে কল্পত সোনার বাংলায় কী আমায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে?” ছবিতে দুই পায়ের মাঝে জিমের শরীর চর্চা করার কিছু সামগ্রী ছিল। সেই সকল সামগ্রীকে গুরুত্ব না দিয়ে ছোট পোশাক এবং ক্যাপশনকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন শ্রীলেখা।
দিন তিনেক আগে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের দিনে শ্রীলেখার ছবি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নখের উপরে নেল পলিশের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন সিপিএম-র দলীয় প্রতীক কাস্তে এবং হাতুড়ি। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর লাল রঙে আঁকা হয়েছে ওই ছবি। গাড়িতে বসে বাঁ হাতের মধ্যমা উচিয়ে সেলফি তুলেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ওই নখের উপরে দলীয় প্রতীক এঁকেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- Viral picture: দলত্যাগের আগেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গী তৃণমূল নেতা
সাধারণত হাতের মধ্যমা আঙুল দিয়ে অশ্লীল এবং কুরুচিকর ইঙ্গিত দেখানো হয়। ওই আঙুলের ইঙ্গিত নিয়ে আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে মধ্যমা দেখিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে ওই একই আঙুল দেখিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিতর্কিত কোচ গ্রেগ চ্যাপেল।