মুম্বই: এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির সেই একমাত্র লাল আলোতেই দেখা যাবে এমন ভ্যাবাচ্যাকা নায়ক। এদিকে একাধারে প্রেমিক আবার সমানভাবে সমাজ নিয়েও সচেতন। এমন গল্পের ধাঁচ এখন বলিপাড়ায় খুব একটা দেখা না গেলেও ১৯৮৭ সালের এই ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ আবার আসতে চলেছে বড় পর্দায়।
এ তো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বটেই। তবে ঘটনাক্রমে শেখর কাপুরের পরিচালিত পুরনো ছন্দের ছবিটির স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন জাভেদ আখতার কিন্তু ছবির কাজ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র খবর পান নি তিনি। সোজা ছবির কাজ শুরু কিন্তু স্বয়ং জাভেদ আখতার কিছুই জানেন না। কথায় আছে কর্ম কখনও বৃথা যায় না, এক্ষেত্রেও কর্মফলটা প্রকাশ্যেই পেয়ে গেল ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’।
পরিচালক আলি আব্বাস জাফর ‘মিস্টার ইন্ডিয়া ২’ আনতে চলেছেন। ছবির কোনও বিষয় সম্পর্কেই জানেন না স্বয়ং অনিল কাপুর। ১৯৮৭ এর ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির সময়ে ঘটেছিল একই ঘটনা, জাভেদ আখতার সে বিষয়েই এবার সরব। এবারও ঠিক একই ভাবে অনুমতি তো দূরের কথা, ছবিটি পুনরায় আসতে চলেছে সে বিষয়ে জানানোরও প্রয়োজন মনে করেননি।
এই প্রসঙ্গে শেখর কাপুর টুইটে জানিয়েছেন, ‘আমাকে কেউ জানায়নি যে মিস্টার ইন্ডিয়া ২ হতে চলেছে৷ আমার মনে হয়, ওঁরা শুধু ছবির নামটাই ব্যবহার করছে। কিন্তু ছবির গল্প হোক কিংবা চরিত্র, কোনওটাই অনুমতি ছাড়া ওরা অনুকরণ করতে পারে না’।
একদিকে শেখর কাপুরের এমন বিরক্তির প্রকাশ অন্যদিকে জাভেদ আখতারও এবার সেই পুরনো ইতিহাসকে টেনে এনে বলেন, এখন তারা বিরক্ত হছেন কারণ অনুমতি নেওয়া হয়নি, বনি কাপুরের প্রযোজনায় শেখর কাপুরের ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ যখন মুক্তি পায়, তখনও তো আমাকে অবজ্ঞা করা হয়’।
এখানেই শেষ নয়, পরিচালক আলি আব্বাস জাফরকে একহাত নিলেন অনিলকন্যা সোনম কাপুর৷ সোনমের কথায়, ‘অনেকেই আমাকে মিস্টার ইন্ডিয়া’র রিমেক নিয়ে প্রশ্ন করছেন৷ কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, আমার বাবা জানেনও না যে ছবিটার রিমেক হচ্ছে৷ আলি আব্বাস জাফরের টুইট থেকেই আমরা জানতে পারি৷ ব্যাপারটা সত্যিই খুব অপমানজনক এবং দুঃখের৷ যদি খবরটা সত্যি হয়, তাহলে কেউ একবার বাবা কিংবা শেখর কাকুকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন বলে মনে করল না৷ এই দু’জনই য়ে অবদান রয়েছে ছবিটা তৈরির নেপথ্যে৷ অনেক কষ্ট করে ছবিটা বানিয়েছেন ওঁরা৷ আমার বাবার কেরিয়ারেও বিশেষ ছবি৷ আত্মিক দিক দিয়ে খুব কাছের৷ আমার মনে হয়, প্রত্যেকের কাজের প্রতিই একটা শ্রদ্ধা থাকা উচিত’।