বিনোদন ডেস্কঃ টলি পাড়ার পরিচালক-ফেডারেশন দ্বন্দ্বে মতামত পেশ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “আলোচনার দরজা খোলা থাকুক। ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করা যাবে না। বিশেষত যেখানে নো ওয়ার্ক নো পে।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে অমান্য করেছেন পরিচালকেরা। জানিয়ে দিল ফেডারেশন (Federation)।
ইন্ডাস্ট্রিতে সকলেই সকলের পরিপূরক, এখানে একা কোনো কাজই হয় না। ফেডারেশনের (Federation) দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবেই ইন্ডাস্ট্রিকে (Industry) বন্ধ করে রেখেছে কয়েকজন পরিচালক। এতে পরিচালকদের অহংকারই প্রকাশ পাচ্ছে। সোমবার দুপুরে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) বাড়িতে বৈঠক হওয়ার পরই ফেডারেশন সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশে সিরিজের শ্যুটিং করার কারণে ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে (Rahool Mukherjee)। তবে শুক্রবার ফেডারেশনের বৈঠকের পর রাহুলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হয়। তাই শনিবার থেকেই পুনরায় তাঁর শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লোরে আসেনি টেকনিশিয়ানরা (Technician)। ফলে প্রতিবাদে সরব হয়েছে টলিপাড়ার পরিচালকদের একাংশ।
পরিচালকেরা (Directors) জানিয়েছিলেন, রবিবারের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে সোমবার থেকে কোনো পরিচালক আর কাজ করবে না। আর সেই কথা মতোই সোমবার থেকে সমস্ত স্টুডিও বন্ধ। দুপুরে প্রসেনজিৎ (Prosenjit)-এর বাড়িতে পরিচালক এবং ফেডারেশনের বৈঠকের পর মুখ খোলে ফেডারেশন।
ফেডারেশনের (Federation) সরাসরি কটাক্ষ, “এই সমস্যার সমাধানের জন্য, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ (Prosenjit Chatterjee) চট্টোপাধ্যায়, ও প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের কর্ণধারকে নিয়ে মিটিং করা হয়। ওঁদের অনুরোধেই রাহুল মুখোপাধ্যায়কে প্রযোজক হিসেবে থাকার সিদ্ধান্তে সম্মতি দেওয়া হয়। তাঁরা বলেছেন, “আমরা সৌমিক হালদারকে পরিচালক হিসেবে মান্যতা দিই, আর সেই সিদ্ধান্তেই আমরা অটল আছি।”