
বারাসত: একবার শোনা গিয়েছিল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আরেকবার শোনা গিয়েছিল, নাহ্, উদ্বোধনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। যার জেরে মোদী-দিদির দ্বন্দে উদ্বোধন ছাড়াই পথচলা শুরু করল মেডিক্যাল কলেজ৷ যার জেরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ তবে ‘স্পর্শকাতর’ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ তবে সময়ে কলেজের পঠনপাঠন চালু হওয়া খুশী পড়ুয়ারা৷ ঘটনাটি বারাসাত গভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের।
গত ১৪ নভেম্বর এই মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ সেই বিষয়ে প্রচারও চালানো হয়েছিল সরকারিভাবে৷ তারপরই কলেজের মালিকানা নিয়ে বিতর্ক সামনে আনেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রের অর্থে তৈরি হওয়া মেডিক্যাল কলেজটি উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর৷ তার আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের নামে সেটি উদ্বোধন করতে চাইছেন৷’’ শুধু টুইট করা নয়, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও অভিযোগ জানান শুভেন্দু৷
এরপরই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে উদ্বোধন স্থগিত হয়ে যায়। ফলে সময়ে কলেজ চালু নিয়ে উৎকন্ঠা তৈরি হয় পড়ুয়া মহলেও৷ তবে শেষ পর্যন্ত পড়ুয়াদের দুর্ভাবনা দূর করতে নির্ধারিত সূচি মেনে আজ ১৬ নভেম্বর থেকেই চালু হল কলেজের পঠনপাঠন৷ উদ্বোধন ছাড়াই পথ চলা শুরুর প্রসঙ্গে মেডিকেল কলেজে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোন বক্তব্য দিতে না চাইলেও ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক উভয়েই খুশি। প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রী যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের এখানে কোন সিনিয়র না থাকায় টিচাররাই অনেক হেল্প করছেন বলে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি। এ বিষয়ে বারাসতের চিকিৎসক সুমিত সাহা জানান, ‘‘উদ্বোধনের সঙ্গে পঠন পাঠনের কোনও বিরোধ নেই। নির্দিষ্ট সময় পঠন-পালন শুরু না হলে ছাত্রছাত্রীরা পিছিয়ে পড়বে৷ তাই নির্ধারিত সূচি মেনেই পঠনপাঠন শুরু করে দেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: আদিবাসীদের কু-কথা, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালেন স্বয়ং বিরবাহা