কলকাতা: ফিবারের প্রায় সবকটি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষায়৷ তাই এই বছর পর্ষদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরীক্ষাচলাকালীন ৪২ টি ব্লকে বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট পরিষেবা৷ সেই মতো কাজ হলেও প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনেও রোখা গেল না প্রশ্নপত্র ফাঁস৷
মঙ্গলবার প্রথম পত্র বাংলার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল৷ একই ঘটনার পুনরাবৃত্ত হল বুধবার দ্বিতীয় পত্র ইংরেজিতে৷ প্রশ্নপত্র বহু সর্তকতার মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছালেও ঠেকানো গেল না৷ পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ইংরেজি প্রশ্নপত্র৷ এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কেন মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেও প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকাতে ব্যর্থ হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ? তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রশ্নপত্রেই কি পরীক্ষা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি৷
মঙ্গলবার বাংলা পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় প্রশ্নপত্র৷ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন থেকে শুরু হয়ে গেল প্রশ্ন ফাঁস৷ প্রথমদিন ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দিয়েছিল লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ারা৷ মঙ্গলবার প্রশ্নফাঁসের তদন্তে গ্রেফতার করা হয় এক ব্যক্তিকে৷ তিনি কোথা থেকে ওই প্রশ্নপত্র পেয়েছে সেবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে৷
প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে ৪২ টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ মালদহ, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি সহ বেশ কিছু জেলাতে বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট পরিষেবা৷ পাশাপাশি পরীক্ষার্থীরা কেউ স্মার্ট ফোন, ক্যালকুলেটর নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এমনকী স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সকাল সাড়ে ১০ টায় প্যাকেট করে পরীক্ষাকেন্দ্র প্রশ্নপত্র পৌঁছাবে৷ প্রশ্নপত্রের সেই প্যাকেট খোলা হবে ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ৷ কিন্তু এত কিছুর পরও ঠেকানো গেল না প্রশ্নপত্র ফাঁস।
এই বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮। যা গতবারের তুলনায় কম। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৯। পর্ষদ তরফে জানানো হয়েছে এই বছর মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।