
ঋতিকা চক্রবর্তী: বাঙালির আবেগ দুর্গাপুজো। এই পাঁচটা দিনের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে বাঙালিরা। তবে প্রবাসী বাঙালিদের পুজো একটু অন্যরকম ভাবে কাটে। নিজেদের বাড়ি ও পরিবার থেকে দূরে কাটাতে হয় তাদের, যদিও প্রবাসের পুজোতে থাকে অন্যরকম এক আনন্দ। কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের মতো নাই বা হল, কিন্তু বিদেশ বিঁভুইয়ে প্রবাসী বাঙালিরা একসঙ্গে সময় কাটান পুজোর কয়েকদিন। সুদূর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নেও বাঙালিরা মিলে পালন করেন দুর্গোৎসব। উৎসব মেলবোর্ন অ্যাসোসিয়েশন, সংক্ষেপে UMA হল একটি বাঙালি/ভারতীয়দেরই সংস্থা। যেখানে বিভিন্ন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাঙ্কাররা ইত্যাদি বহু পেশার মানুষ যুক্ত রয়েছেন। পুজোর দিনগুলিতে এঁনারা মেলবোর্নে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উপভোগ করতে একত্রিত হন।
মেলবোর্নে পুজো অবশ্য কলকাতার মতো পঞ্জিকা ও সময় সূচি মেনে হয় না। অর্থাৎ ষষ্ঠী, সপ্তমী থেকে শুরু করে অষ্টমী নবমী আলাদা তিথি বা দিনে পালন করা হয় না। পুজো হয় মোট তিন দিনের। এই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী, সপ্তমী একসঙ্গে পালন করা হয়েছে। ১ লা অক্টোবর আমাদের কলকাতায় যখন ষষ্ঠী, মেলবোর্নে সেই দিন পালন করা হচ্ছে মহা অষ্টমী ও মহা নবমী একসঙ্গে। এরপর আজ অর্থাৎ ২ অক্টোবর দশমী হয়ে সেখানে পুজো শেষ। দশমীতে হয় সিঁদুরখেলাও। পুজোর এই কয়েকটা দিন মণ্ডপেই হয় জমিয়ে আড্ডা, নাচ-গান অনুষ্ঠান ও ভোগ খাওয়া। অষ্টমীতে আর পাঁচটি বাঙালি পরিবারের মতোই এখানেও নিরামিষ ভোগ খাওয়ানো হয়েছে। নবমীতে ফয়সাল অম্লানির গান দিয়ে উৎসব শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি, দুর্গোৎসবে মেতে উঠেছেন জার্মানির প্রবাসীদের Team Durgaville

উমার দুর্গাপুজো উদ্ধোধন করেন অস্ট্রেলিয়ান লেবর পার্টির ওয়েস্টার্ন মেট্রোপলিটান এলাকার সাংসদ ইনগ্রিড স্টিট। এই পুজোয় সকলের প্রবেশাধিকার রয়েছে। এই পুজোর দায়িত্বে থাকা একজন খাস খবরকে জানিয়েছেন, “তিন মাস আগে থেকে শুরু হয় এই পুজোর প্রস্তুতি। এই বছর প্রায় ২০০ এর বেশি লোক জড়ো হয়েছেন একসঙ্গে। মূর্তি আসে কলকাতার কুমারটুলি থেকেই। কলকাতার মতো দুর্গোৎসব না হলেও চেষ্টা করেছি মেলবোর্নে থাকা বাঙালিরা যাতে পুজোর আমেজ উপভোগ করতে পারেন।” উৎসব মেলবোর্ন অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও মেলবোর্নে রয়েছে আর বাঙালিদের সংস্থা। যা হল বেঙ্গলি সোসাইটি মেলবোর্ন, এখানেও বাঙালি ঐতিহ্য পালন করা হয়।