
বারুইপুর: নিত্যদিন সংসারে অশান্তি। প্রতিবেশীরাও চিৎকার চেঁচামেচি শুনে শুনে ক্লান্ত। তবে স্বামী-স্ত্রীর মাঝের অশান্তি এমন চরম রূপ নেবে তা কল্পনাও করা যায়নি। বিবাদের জেরে নিজের স্ত্রীকে খুন করতেও পিছু পা হলেন না স্বামী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার অন্ত্রগত পিয়ালি এলাকায়।
আরও পড়ুন: এই বড় কারনেই অমিত শাহকে গ্রেফতার করার দাবি জানালেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম সুপর্ণা হালদার এবং তাঁর স্বামী অভিযুক্ত কমল হালদার। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই দম্পতির সংসারে অশান্তি ছিল। মাঝে মধ্যেই সুপর্ণা অশান্তি করে বাপের বাড়ি চলে যেতেন। কয়েকদিন পর তাঁকে আবার ফিরিয়ে আনা হত। ফের তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। শুক্রবারও একইভাবে দুজনের চিৎকার শোনা যায়। দম্পতির পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে পাড়ার কালী ঠাকুর বিসর্জনের অনুষ্ঠানে যেতে চাইলে কমল বাধা দেয়। কিন্তু সুপর্ণা যাওয়ার জন্য জোর করলে বিবাদ শুরু হয় এবং সেইসময়েই রাগের বশে কমল হাতুড়ি নিয়ে এসে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার। মৃতার ছেলে সোমনাথ হালদারের দাবি, তার বাবাই নিজে হাতে মাকে খুন করেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পলাতক কমল হালদারের খোঁজ শুরু করেছে তাঁরা। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।