লখনউ: ভয়ঙ্কর ঘটনা। ভাইঝির সঙ্গে ছিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সবই ঠিক চলছিল কিন্তু মাঝে ভাইঝির বিয়ে ঠিক হওয়াতেই ঘটল বিপত্তি। ভাইঝির বিয়ে হবে মেনে নিতে পেরেই খুন করল কাকা। শুধু খুন নয় সেই দেহ নির্মীয়মাণ একটি বাড়িতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এমনকি পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে একটি বাসে ভাইঝির মোবাইল ফোনও ফেলে দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হারদোই জেলায়। ব্যক্তির উঠেছে তার ২২ বছরের ভাইঝিকে খুনের অভিযোগ। কাকার সঙ্গে যুবতীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি অন্য কাউকে বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু সেটাই তার কাকা মেনে নিতে পারেনি। অভিযুক্ত মণিকান্ত দ্বিবেদী ভাইঝিকে খুন করে এবং তারপর একটি নির্মাণাধীন ভবনে পুঁতে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, মানসী পান্ডে নামের ওই মহিলা সোমবার রাখিবন্ধন উপলক্ষে তার কাকার বাড়িতে গিয়েছিলেন। যখন তিনি ফিরে আসেননি, তখন তার বাবা রামসাগর পান্ডে মণিকান্তের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মণিকান্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেলা পুলিশ প্রধান নীরজ কুমার জাদৌন বলেছেন যে অভিযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছে যে মানসীর সাথে তার দুই বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। তিনি বলেন “সম্প্রতি, মানসী তাকে বলেছিল যে সে অন্য কাউকে বিয়ে করতে চায়। এতে মণিকান্ত ক্ষুব্ধ হয় এবং সে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।”
অভিযুক্ত পুলিশকে আরও জানায়, “মানসীর বিয়ের দিন ২৭ নভেম্বর ঠিক করা হয়েছিল। তিনি এটা চাননি এবং তাকে বিয়ে না করতে বলছিলেন।” মানসীর বাবা রামসাগর পাণ্ডে বলেন, “মানসী ওর কাকার বাড়িতে গিয়েছিল। আমরা কাজের জন্য লখনউয়ে যাই। সোমবার মণিকান্তের বাড়িতে যায় মানসী। কিন্তু বুধবার মণিকান্ত ফোন করে জানায়, মানসী নিখোঁজ। ওর ফোনও বন্ধ। মণিকান্ত আমাদের জানায়, মানসী একজনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওর কথা শুনে সন্দেহ হয়।” তারপরেই মানসীর বাবা পুলিশকে ঘটনা জানায়। পুলিশ গ্রেফতার করার পড়েই ঘটনা সামনে আসে।