
বিষ্ণুপুর: দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া বাংলায়। নিজের স্ত্রীকে খুনের পর দেহ লোপাটের চেষ্টায় মৃতদেহ তিন টুকরো করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পনেরো বছর আগে আলিম শেখ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মমতাজের বিয়ে হয়। আলিম মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ি বিষ্ণুপুরের ছিটবাগি এলাকায় থাকতেন দম্পতি। মমতাজ সামালি এলাকায় একটি লজেন্স কারখানায় কাজ করতেন। মঙ্গলবার কাজে যাওয়ার জন্য স্বামীর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন মমতাজ। তারপর আর ফেরেননি। আলিম যথারীতি রাতে শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন। বুধবার এলাকার মানুষের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে জানায় বিষয়টি। এরপর আলিমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। শেষে জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় আলিম। বিকেলে আলিমকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় মাটি খুঁড়ার কাজ। কিছুটা মাটি সরানোর পর দেহের টুকরোগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
বুধবার বিষ্ণপুরের সারদা গার্ডেন এলাকার একটি জলার পাড়ের মাটির ভেতর থেকে দেহের টুকরোগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিকল্পনা করে এই খুন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই অপরাধে আলিম ছাড়া আর কেউ জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।