
নয়াদিল্লি: শিহরণ জাগানো শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের মামলার তদন্তে আরও একধাপ এগালো দিল্লি পুলিশ। খুনের কথা আগেই স্বীকার করেছে শ্রদ্ধার লিভ-ইন পার্টনার। সেই খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই অস্ত্র দিয়েই আফতাব শ্রদ্ধারর দেহ ৩৫ টি টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল।
সোমবার দিল্লি পুলিশ আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ব্যবহৃত খুনের অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তকে বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আফতাব বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলের ৪ নম্বর ব্যারাকে বন্দি রয়েছে। আফতাবকে জেল পাঠানোর একদিনের মধ্যেই পুলিশ এই সাফল্য পেয়েছে। আফতাবকে গ্রেফতার করার পর, দিল্লি পুলিশ তার বাসভবনে তল্লাশি চালায় এবং সেখান থেকে পাঁচটি ছুরি উদ্ধার করে যেগুলি অপরাধে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (এফএসএল) পাঠানো হয়েছিল। তবে শুধু অস্ত্রই নয় দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধার আংটিও উদ্ধার করেছে যা আফতাব তার ফ্ল্যাটে আমন্ত্রণ জানানো অন্য একটি মেয়েকে উপহার দিয়েছিল। দিল্লির এই হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। খুনের কথা স্বীকার করলেও যত সময় যাচ্ছে ততই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
উল্লেখ্য, ১৮ মে আফতাব তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল এবং তার দেহকে ৩৫ টুকরো করে দক্ষিণ দিল্লিতে তার মেহরাউলি বাসভবনে আশেপাশে জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়েছিল। খুন করে দেহ কেটে জঙ্গলে ছড়িয়ে দেওয়া আগে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ৩০০ লিটারের ফ্রিজে রাখা হয়েছিল শ্রদ্ধার দেহের কাটা অংশগুলি। যদিও পুলিশ এখনও শ্রদ্ধার দেহের সমস্ত অংশ উদ্ধার করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি শ্রদ্ধার মাথা। পলিগ্রাফ পরীক্ষা চলছে আফতাবের। আরও কোন কোন তথ্য পায় পুলিশ সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।