
খাস ডেস্ক: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের (Shraddha Murder Case) পর ফের হাড়হিম করা খুনের ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজধানী দিল্লি। নিজের বাবাকে খুনের পর দেহ টুকরো করে কেটে ফেলল ছেলে। এই নৃশংস অপরাধে জড়িত ছিল মৃতের স্ত্রীও। এবারের ঘটনাস্থল পূর্ব দিল্লি। ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজধানীর পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা অঞ্জন দাস, তাঁর স্ত্রী পুনম এবং ছেলে দীপক দাস। গত জুন মাসে অঞ্জনকে খুন করে তাঁর ছেলে এবং স্ত্রী। এরপর মৃতের দেহ টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। সোমবার খুনের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদী “মিথ্যাবাদী নেতা”, গুজরাটে দাড়িয়ে বেনজির আক্রমণ নয়া কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের
গত জুন মাসেই পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপুরী এলাকায় একটি কাটা মুণ্ডু ও হাত পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেইসময় দেহের টুকরোগুলি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়নি। কয়েকমাস পর দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে তরুণীর দেহের টুকরো উদ্ধার করছিল সেইসময়ে ফের এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এবং বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানতে পারে মৃতদেহটি অঞ্জন দাসের।
A woman along with her son arrested by Crime Branch in Delhi’s Pandav Nagar for murdering her husband. They chopped off body in several pieces,kept in refrigerator & used to dispose of pieces in nearby ground: Delhi Police Crime Branch
(CCTV visuals confirmed by police) pic.twitter.com/QD3o5RwF8X
— ANI (@ANI) November 28, 2022
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, অবৈধ সম্পর্কের জেরে পুনম ও তাঁর ছেলে দীপক অঞ্জন দাসকে খুন করে। ওই ব্যক্তিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুন করা হয়। এরপর তাঁর দেহ টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দেয় এবং পাণ্ডব নগর ও তার আশেপাশের এলাকায় ফেলে দিয়ে আসে। পুলিশের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে যেখানে দীপক দাসকে একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ব্যাগেই তার বাবার কাটা দেহ ছিল।