লখনউ: আরজিকরের কাণ্ড নিয়ে যখন উত্তাল গোটা দেশ। চিকিৎসকদের সুরক্ষা নয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)আর জি কর মামলার শুনানিও হয়েছে। শুধু কলকাতারই নয়, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, বিহার-সহ নানা জায়গায় ডাক্তাররা আক্রান্ত হচ্ছেন বলেই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। এই আবহেই এবার যে খবর সামনে এসেছে তা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। এক দলিত নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তুলে নিয়ে গিয়ে ২০ বছর বয়সী এক দলিত নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। নার্সের বাবার দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, ঘটনাটি ঘটে ১৭-১৮ আগস্টের মধ্যবর্তী রাতে। সেই সময়েই নির্যাতিতা নার্স হাসপাতালে ডিউটি করছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় তিনি ডিউটির জন্য রিপোর্ট করেন। গভীর রাতে, মেহনাজ নামে হাসপাতালের আরেক নার্স তাকে তার রুমে একজন ডাঃ শাহনওয়াজের সাথে দেখা করতে বলে।নার্স যেতে অস্বীকার করলে তিনি তা করতে অস্বীকার করলে মেহনাজ ও ওয়ার্ড বয় জুনায়েদ তাঁকে জোরপূর্বক হাসপাতালের উপরের তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায় এrapeবং বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়।
অভিযোগ, ডাঃ শাহনওয়াজ ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে তালা বন্ধ করে তাঁকে ধর্ষণ করেন এমনকি খুনের হুমকিও দেন এবং জাতপাত নিয়ে অপবাদ দেন। নার্সের বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর, মোরাদাবাদ পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এবং এসসি/এসটি আইনের প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে এই বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, মোরাদাবাদের পুলিশ সুপার (এসপি) গ্রামীণ সন্দীপ কুমার মীনা বলেছেন, “এই বিষয়ে ঠাকুরদ্বারা থানায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি দলও গঠন করা হয়েছে, এবং তিন সন্দেহভাজন মহিলার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে, তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।