
বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে সবথেকে বেশি দর পেয়েছিলেন। সেই মহেন্দ্র ধোনির দশমীর ঢাক বাজা শুরু হয়ে গেল শুরু। টানা ১৫টি বছর। ১৬টি আইপিএল। মাঝে দু বছর বাদ দিয়ে (২০১৬ ও ২০১৭) বরাবর হলুদ জার্সিতে। আর হ্যাঁ, যেটা না বললেই নয়। মোট চারবার খেতাব।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অর্থের ফারাক নিয়ে মস্করা
২০১০ এবং ২০১১ সালে প্রত্যাশিতভাবে। ২০১৮ সালে একটু অপ্রত্যাশিত। ২০২১ নাগাদ আরওই অপ্রত্যাশিতভাবে। সব মিলিয়ে যেন একটা যুগের পরিসমাপ্তির শুরু এদিন। একটা রূপকথার। পাশাপাশি আরও দুটি প্রশ্ন উঠে আসছে এখান থেকে।
এক, ভারতীয় অধিনায়ক ধোনি নাকি চেন্নাই সুপার কিংসের নেতা ধোনি? এগিয়ে কে? আর এ মুহূর্তে মহাগুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় প্রশ্ন— খেলোয়াড় জীবনকে বিদায় জানালেও সিএসকে শিবিরকে কি বিদায় জানাতে পারবেন এমএসডি? বলাই বাহুল্য, এখানে নানা মুনির নানা মত। দুই প্রশ্নের উত্তরে।
ভারতকে টি-টোয়েন্টি আর ৫০ ওভারে বিশ্বসেরা করা! তার সঙ্গে আইপিএলের কোনও তুলনা হতে পারে? না সত্যিই পারে না। তবু কী করে অস্বীকার করা যাবে ২০১৮ তে দু বছরের নির্বাসন কাটিয়ে ফিরে এসেই সিএসকে’র খেতাব জয়? শুধু নেতৃত্বে বা উইকেটের পিছন থেকেই নয়। ব্যাটহাতে-ও সেবার বারেবারে জ্বলে উঠেছিলেন ৩৬ বছরের মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমনকি ২০২১ এ চেন্নাই শেষবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময়ও জ্বলে উঠেছেন।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
অর্থাৎ সিএসকে মানেই যেন ধোনি। ধোনি মানেই যেন সিএসকে। আর এখানেই যেন লুক্কায়িত দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর। বিদায়যাত্রা শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে গেলেও এরপর যে নতুন কোনও যাত্রা দেখা যাবে না, তার কি নিশ্চয়তা? হয়ত কোচের ভূমিকায়! স্টিফেন ফ্লেমিং শুরু থেকেই সিএসকে কোচ। তাঁরও তো এবার বিশ্রামের প্রয়োজন।