স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১০ সালে ভাইজাগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে যে কেরিয়ারের সূচনা ঘটেছিল তার সমাপ্তি ঘটল শনিবার। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে শিখর ধাওয়ান আন্তর্জাতিক সেইসঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষবার ভারতের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় ওপেনারকে। দেড় বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করার পর অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা বললেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেড় বছর অপেক্ষার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর শিখর ধাওয়ানের
ধুন্ধুমার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচের শিখরকে ডাকা হয়, গব্বর নামে। বিশেষ করে, ৫০ ওভারের আইসিসির প্রতিযোগিতাগুলিতে চিরকালই তাঁর পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ওডিআই বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিলিয়ে তাঁর ব্যাটিং গড় ৬৫ -রও বেশি। অন্যদিকে ২০১৩ সালে অভিষেক টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ১৮৭ রানের ইনিংস। অথচ এরপরেও গব্বরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারকে সে অর্থে বর্ণময় বলার উপায় নেই।
২০১৩ সালে টিম ইন্ডিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় সবথেকে বড় কারিগর ছিলেন শিখর ধাওয়ান (৫ ম্যাচে ৩৬৩ রান)। তবে শুধু সেবারই নয়, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সর্বাধিক রানসংগ্রাহক (৫ ম্যাচে ৩৩৮ রান) হয়ে গোল্ডেন ব্যাট জিতে নেন। এছাড়া ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের এশিয়া কাপেও রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন ভারতীয় ওপেনার। ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সবথেকে বেশি রান (৮ ম্যাচে ৪১২ রান) তাঁরই। কিন্তু এরপরই ২০১৯ বিশ্বকাপ চলাকালীন এক জোরদার ধাক্কা লাগে এই উজ্জ্বল কেরিয়ারে।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১৭ রান করলেও প্যাট কামিন্সের বলে শিখর ধাওয়ান বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে মারাত্মক চোট পান। ফলে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যেতে হয়। এরপর যদিও আবার ফেরত এসেছেন, এমনকি ২০২১ সালের শ্রীলঙ্কা সফরে নেতৃত্বও দিয়েছেন দলকে, তবু কোভিড পরবর্তী যুগে হারানো ছন্দ আর কখনওই সেভাবে ফিরে পাননি তিনি। ফলে শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়ালের মত তরুণদের ভিড়ে হারিয়ে যেতে থাকেন ক্রমশঃ।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি, প্যাট কামিন্সের বলে আঘাত পেয়ে শুধু ২০১৯ বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যাননি ধাওয়ান, এর পরে আর কখনওই দেশের হয়ে আইসিসি প্রতিযোগিতায় নামা হয়নি তাঁর। এমনকি এই বছরের আইপিএলেও পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলতে দেখা গেলেও ফিটনেস সমস্যা ভুগিয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। গত বছরের অক্টোবরেই স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে ঘটে গিয়েছে। একমাত্র ছেলেকে কাছে পান না। সব মিলিয়েই কি আর পেরে উঠলেন না গব্বর?