শুভম দে: সব জল্পনার অবসান। আইপিএল ২০২৫ -এর আগে কজন খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত এসে গেল। শনিবার বেঙ্গালুরুতে বসেছিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানেই আইপিএল ২০২৫ -এর (IPL 2025) মেগা নিলামের রূপরেখা নির্দিষ্ট হয়ে গেল। যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হল আসুন দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলে অবাধে চলছে বয়স ভাঁড়ানো, সরব প্রাক্তন ইপিএল তারকা
কতজন খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি?
মোট ৫ জন প্লেয়ারকে রিটেন করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি ও একটি রাইট টু ম্যাচ (RTM) কার্ড ব্যবহার করতে পারবে। আইপিএলের ইতিহাসে যা সর্বাধিক। এর আগে ২০১৭ সালে মেগা নিলামে ৩ জন খেলোয়াড়কে রিটেন ও ২ কি রাইট টু ম্যাচ কার্ড (RTM) ব্যবহার করার অনুমতি ছিল ও ২০২১ -এর মেগা নিলামে রাইট টু ম্যাচ কার্ড তুলে দিয়ে সর্বাধিক ৪ জন ক্রিকেটারকে রিটেন করতে পেরেছিল দলগুলি। কিন্তু এবার ফেরানো হল রাইট টু ম্যাচ কার্ডের সুবিধা ও বাড়ানো হল রিটেনশনের সংখ্যা।
রিটেইনড প্লেয়ারদের মধ্যে কতজন ভারতীয় ও কতজন বিদেশি থাকবে?
রিটেনশনে কজন ভারতীয় আর কজন বিদেশি সেই সম্পর্কে কোনও বাধা থাকলো না। টিমগুলি তাদের পছন্দমত প্লেয়ার রিটেন করতে পারবে। তবে একজন আনক্যাপড মানে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটেনি এমন ভারতীয় প্লেয়ারকে রিটেন করতেই হবে। কিন্তু এখানেই আরও চমক। সূচনা লগ্নের নিয়ম ফিরে আসতে চলেছে আইপিএলে (IPL 2025)। যে নিয়মানুযায়ী ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা কোনও প্লেয়ার যদি পাঁচ বছর বা তারও আগে অবসরগ্রহণ করে থাকে তাহলে সে আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে গণ্য হবে। যদিও এই নিয়ম ২০২১ সাল অবধি প্রযোজ্যই ছিল। কিন্তু কখনও ব্যবহার করেনি কোনও দল।
মেগা নিলামে মোট কত টাকা খরচ করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি?
এখানেও চমক। আইপিএল ২০২২ -এ মোট ৯০ কোটি পার্সে নিয়ে মেগা নিলামে অংশগ্রহণ করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। যা ২০১৮ সালের তুলনায় ১০ কোটি বেশি ছিল। কিন্তু এবার ২০২৫ সালের মেগা নিলামে তা ৯০ কোটির থেকে বেড়ে হল ১২০ কোটি। যার মধ্যে রিটেনশনের জন্য বরাদ্দ ৭৫ কোটি। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম রিটেনশনের জন্য যথাক্রমে ১৮ কোটি, ১৪ কোটি, ১১ কোটি, ১৮ কোটি, ১৪ কোটি টাকা খরচ করতে হবে দলগুলিকে। তবে আনক্যাপড প্লেয়ারের মূল্য ৪ কোটিই রাখা হচ্ছে ২০২১ সালের মেগা নিলামের মতো। অর্থাৎ কোনও দল আরটিএম (RTM) সমেত ৬ জন প্লেয়ারকে ধরে রাখতে চাইলে ৭৯ কোটি (৭৫+৪) খরচ করতে হবে তাদের। ফলে মেগা নিলামে মাত্র ৪১ কোটি টাকা (১২০–৭৯ = ৪১) পুঁজি নিয়ে নামবে তারা।
মেগা নিলামের জন্য রেজিস্ট্রেশন কি করতেই হবে?
হ্যাঁ। কোনও বিদেশি খেলোয়াড় যদি মেগা নিলামে নিজের নাম নথিভুক্ত না করে তাহলে পরবর্তী নিলামে সে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং নিলামে বিক্রিত হওয়ার পর উপযুক্ত কারণ ছাড়া কোনো খেলোয়াড় দলে যোগ না দিলে পরবর্তী দুবছর আর নিলামে নাম তুলতে পারবেনা সে।
এছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজকের বৈঠকে। যেমন এবার থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে বা দেশের হয়ে খেললে যেরকম চুক্তির বাইরে প্রতি ম্যাচ খেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট অর্থ পান খেলোয়াড়রা, ঠিক সেরকম আইপিএলেও (IPL) চুক্তির টাকার সাথে প্রতি ম্যাচ বাবদ আরও ৭.৫০ লাখ টাকা করে বেতন পাবেন তাঁরা। আর লিগের সবকটি ম্যাচ (১৪ কি) খেললে অতিরিক্ত ১.০৫ কোটি টাকা ঢুকবে তাঁদের পকেটে।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
ফলে নামী প্লেয়ারদের পাশাপাশি অনেকটাই লাভবান হবেন ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে উঠে আসা প্লেয়াররা। এর জন্য প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আলাদাভাবে ১২.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আইপিএলের ইতিহাসে আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে।“