স্পোর্টস ডেস্ক: মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জয় শাহ। আইসিসির ইতিহাসে এর আগে এত কম বয়সে কেউ মসনদে বসেননি। এদিকে জয় শাহ চেয়ারম্যান হতেই আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দেখা দিয়েছে নয়া জল্পনা। পাকিস্তান থেকে সরে যেতে পারে প্রতিযোগিতাটি এমন কথাই ভাসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: জাতীয় ক্রীড়া দিবস: বাবার দেওয়া নাম বদলে ধ্যান সিং কেন হয়ে গেলেন ধ্যান চাঁদ?
ভারতীয় দল যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পড়শী দেশে যাবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিসিসিআই। তারা হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতাটি করার আহ্বান জানিয়েছিল আইসিসিকে। সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও এবার জয় শাহ চেয়ারম্যান হওয়ার পর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে।
আগামী ডিসেম্বরে গ্রেগ বার্কলের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন অমিত শাহ-পুত্র। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বে তিনি পাকিস্তান বাদে তিনি আইসিসির বাকি ১৫ জন সদস্যেরই সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু তাতেও চেয়ারম্যান হওয়া আটকায়নি তাঁর। পাকিস্তানের সমর্থন না করার প্রসঙ্গে জনৈক আইসিসি কর্তা জানান, “ওদের মতামত খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।”
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
এই মন্তব্যই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে চিন্তায় রাখার জন্য যথেষ্ট। কারণ পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে না যাওয়ার ব্যাপারে দিনকয়েক আগে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াও সমর্থন করেছে ভারতকে। এমনকি আফগানরাও ইচ্ছুক নয় পাকিস্তানে যেতে। এই পরিস্থিতিতে জয় শাহ চেয়ারম্যান পদে বসার পর ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটি বাবর আজমদের দেশ থেকে সরিয়ে দিতেই পারেন।
তবে আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। তা হল, পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যেই ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা করে ফেলেছে আইসিসি। ফলে জয় শাহ নতুন চেয়ারম্যান হয়ে এলেও তাঁর পক্ষে প্রতিযোগিতাটি পাকিস্তান থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। যদি জোর করে কিছু করতে যান, সেক্ষেত্রে প্রশাসক হিসেবে তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সদ্য চেয়ারম্যান হয়েই সেই ঝুঁকি কি নেবেন জয় শাহ্? হয়ত পাকিস্তান থেকে পুরোপুরি সরবে না প্রতিযোগিতাটি। শুধু বিসিসিআইয়ের দাবি মেনে ভারতের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কা বা দুবাইয়ে হতে পারে।