নয়াদিল্লি: দেশে করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬,৮৩৮ জন৷ মৃত্যু হয়েছে আরও ১১৩ জনের৷ বেড়েছে সুস্থতার হার৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত ১৬ হাজার ৮৩৮ জন। যার ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৬১ জন৷ এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৯৪ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১১৩ জনের৷ মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৪৮ জনের। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেস এর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩১৯ জন৷
দেশে মৃত্যুহার দাঁড়াল ১ দশমিক ৪১ শতাংশ৷ আর সুস্থতার হার বেড়ে ৯৭ দশমিক ১ শতাংশ৷ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে৷ শেষ ২৪ ঘন্টায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৩৪০ জন৷ একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১৩৫ জন৷ মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জন৷ ২৪ ঘন্টায় অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮০৩ জন৷ মহারাষ্ট্রে মোট অ্যাক্টিভ আক্রান্ত ৮৬ হাজার ৩৫৯ জন৷
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় শেষ ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে একজনের৷ একইসঙ্গে আক্রান্ত ও মৃতের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা৷ দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগণা৷ এবং সবমিলিয়ে সাত দিনের ব্যবধানে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল৷ এক লাফে ২০০ পেরিয়ে গেল৷ ফলে নতুন করে উদ্বেগে চিকিৎসক মহল৷
বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী,পশ্চিমবঙ্গে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ২৭৩ জন৷ মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯২১ জন৷ কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৪১২ জন৷ তারফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেস এর সংখ্যা কমে ৩ হাজার ২৩৬ জন৷
বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ জন৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা৷ আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ জন৷ এছাড়া হাও়ডাতে ১৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১০ জন৷ এছাড়া বাকি জেলায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাটা ১০ এর নিচে
চিকিৎসকের একটি অংশের মতে, যেহেতু নমুণা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে তাই আক্রান্তের সংখ্যাও সেই নিরিখে বাড়ছে৷ আবার অন্য একটি অংশের মতে, করোনার প্রকোপ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ, মানুষের ব্যক্তিগত অসতর্কতা৷ চিকিৎসকদের একটি অংশের মতে, এখন বাসে, ট্রামে বহু মানুষই আর আগের মতো করোনা বিধি মানছেন না৷ মানছেন না দূরত্ব বিধিও৷
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ভোট৷ ক্ষমতার দখলকে কেন্দ্র করে সবদলই ঝাঁপাবে পূর্ণ উদ্যমে৷ প্রতোকটি দলই চাইবেন সমাবেশে লাখো মানুষকে জড় করতে৷ ফলে করোনা বিধি এই সময়ে কতখানি থাকবে তা নিয়ে শঙ্কিত চিকিৎসক মহল৷ তাঁদের কথায়, সাধারণ মানুষকেই সচেতন হতে হবে৷