পলাশ নস্কর, সল্টলেক: অবশেষে ঘুচতে চলেছে বেকারত্ব৷ বিচারপতির নির্দেশে স্বপ্নপূরণের পথে চাকরিপ্রার্থীরা৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার সল্টলেকের আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনে শুরু হয়েছে ৯২ জন টেট (TET) উত্তীর্ণ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীর ইন্টারভিউ, স্ক্রুটিনি ও ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন৷ স্বভাবতই, স্বপ্ন পূরণের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, ‘স্যার (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) না থাকলে অবিচার থেকে মুক্তি মিলত না৷ উনি সত্যি আমাদের নতুন জীবন দান করলেন৷’’
বস্তুত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৬ নম্বরের একটি প্রশ্ন ভুল ছিল৷ ফলে পর্ষদের ভুলে অনেক পরীক্ষার্থী ওই নম্বর থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মেধা তালিকায় ঠাঁয় পাননি৷ এই নিয়েই আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা৷ ২০১৪ থেকে ২০২২, আট বছরের লড়াইয়ের পথ ছিল না সহজ৷ তবে আশার আলো দেখিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তাঁরই নির্দেশে আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে বঞ্চিত ৯২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ জারি করেন তিনি৷ তারই ভিত্তিতে এদিন সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে ডেকে পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের৷
২০১৪ সালের টেট উর্ত্তীণ, পশ্চিম মেদিনীপুর নবকান্ত শাসমল বলছিলেন, ‘‘ভুল প্রশ্নের জন্য আমাদের নম্বর দেওয়া হয়নি৷ টানা আট বছর আইনি লড়াই শেষে অবশেষে চাকরির পথে৷ ইন্টারভিউ এবং ভেরিকেশন হবে৷ আমাদের স্কুলে পাঠিয়ে এই বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেওয়া হোক৷ এটাই চায়৷ তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে এভাবে পুনর্জন্ম পেতাম না৷’’ একই কথা শুনিয়েছেন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের খুশী অধিকারী৷ তাঁর কথায়, ‘‘২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছিলাম৷ পর্ষেদর ভুলে আমাদের চাকরি আটকে গিয়েছিল৷ স্যার (বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) না থাকলে আমাদের চাকরি পাওয়া হত না৷’’
স্বভাবতই এদিন সল্টলেকে পর্ষদ অফিসে চাকরি প্রার্থীদের (TET) মুখে মুখে শুধুই ঘুরছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম৷ মানুষ নন, নিজ কর্মে যিনি চাকরিপ্রার্থীদের কাছে স্বয়ং দেবতা বনে গিয়েছেন!
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে হটস্পট হতে চলেছে শুভেন্দুর খাসতালুক, বোঝাচ্ছে দু’পক্ষই